তাকে দত্তক নিয়েছিলেন মন্ট্রিয়ল শহরের জোয়েল ও ট্রুডি হার্ট। এ দম্পতি শামাকে নিজেদের একজন সন্তান হিসেবে মানুষ করে তোলেন।
রোববার (২৪ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় এ আলাপচারিতায় শামা বলেন, কানাডাতে থাকলেও বাংলাদেশে ফেরা আমার জন্য একটা স্বপ্ন ছিলো। আমার মাতৃভূমিটা সত্যিই অনেক সুন্দর। আমি জানিনা আমার আসল মা’কে এখানে খুঁজে পাবো কিনা, তবে চেষ্টা করবো তার সন্ধান করতে।
এসময় আলোচনা করেন শহীদ ডা. আলিম চৌধুরীর কন্যা ডা. নুজহাত চৌধুরী শম্পা। তিনি বলেন, আমাদের দেশের বীরাঙ্গনারা অবহেলার পাত্র নয়। তারা আমাদের জন্য ত্যাগ করেছেন। এছাড়া অনেকেই আছেন যারা যুদ্ধশিশু। কিন্তু সামাজিক মর্যাদার কথা ভেবে সে পরিচয় দেওয়া থেকে তারা বিরত থাকে। আমাদের তাদের খুঁজে বের করতে হবে। কেননা তারাও সমাজের সাধারণ মানুষের মতো। বরং তাদের মর্যাদাটা আমাদের থেকে একটু বেশি।
কানাডা প্রবাসী যুদ্ধশিশু বিষয়ক গবেষক মোস্তফা চৌধুরী বলেন, দেশে নির্ধারিত যুদ্ধশিশুর সংখ্যা হাতেগোনা কয়েকজন। বেশ কয়েকজন আছেন দেশের বাইরে। তবে বিভিন্ন কারণে যুদ্ধশিশুদের শনাক্ত করা সম্ভব হয় না। তবে খুঁজে বের করার কাজ অব্যাহত রয়েছে।
অনুষ্ঠানের শুরুতে স্বাগত বক্তব্য রাখেন মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘরের ট্রাস্টি ডা. সারওয়ার আলী। এসময় সূচনা সঙ্গীত পরিবেশন করেন বহ্নিশিখা।
বাংলাদেশ সময়: ২১০৯ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২৪, ২০১৭
এইচএমএস/এসএইচ