১৯৮৬ সালে সর্বপ্রথম পরিযায়ী পাখি আসে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে। শুরু দিকে ৯৮ প্রজাতির পাখি এলেও সেই সংখ্যা এখন ২০০ ছাড়িয়েছে।
শীতের প্রকোপ বেড়ে যাওয়ায় দলে দলে আসতে শুরু করেছে পরিযায়ী পাখিরা। এসব পাখিদের কলকাকলিতে মুখরিত জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস ও এর আশপাশের এলাকা।
লেকে ফুটে থাকা লাল শাপলার মাঝে পাখির ওড়াউড়ি, জলকেলি আর খুনসুটি। সব মিলিয়ে চিরচেনা ক্যাম্পাসে বহুগুণে বেড়ে গেছে প্রকৃতির রূপ। প্রকৃতির সেই রূপের টানেই দূর দূরান্ত থেকে ছুটে আসছেন সৌন্দর্যরে পিয়াসীরা।
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের ৪৬ ব্যাচের শিক্ষার্থী নোভা বাংলানিউজকে বলেন, আমরা ক্যাম্পাসে পাখির কোলাহল খুবই উপভোগ করি। লেখাপড়ার পাশাপাশি এটা আমাদের বিনোদনের ব্যবস্থা করে দেয়। পাখির কারণে আমাদের ক্যাম্পাস শীতকালে যেন হাজারো প্রাণের মিলন মেলায় পরিণত হয়ে ওঠে।
শীতের তীব্রতা বাড়ছে। সেই সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে ক্যাম্পাসে পরিযায়ী পাখির সংখ্যা। পাখির কিচিরমিচির শব্দে ঘুম ভাঙে ক্যাম্পাসের। লেকজুড়ে জাতীয় ফুলের মাঝে পাখিদের ডানা ঝাপটানো আর ওড়াউড়ির চোখ জুড়ানো দৃশ্য দেখতে দূরদূরান্ত থেকে এখানে ছুটে আসেন অনেকে। কেউবা আবার ক্যামেরায় ধারণ করছেন পাখিদের খুনসুটি।
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাণিবিদ্যা বিভাগের অধ্যাপক মনিরুল খান বাংলানিউজকে বলেন, এই পাখিগুলোকে দেখতে এসে কেউবা আবার ছুড়ছে ঢিল, কেউ আবার করে বিরক্ত। এমন ভাবে চলতে থাকেলে আস্তে আস্তে কমে যাবে এখানকার পাখির আগমন।
বাংলাদেশ সময়: ০৬৫১ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২৫, ২০১৭
এসএইচ