সোমবার (২৫ ডিসেম্বর) দুপুর ১টার দিকে খালিস্ট এলাকার একটি বাসা থেকে মরদেহটি উদ্ধার করা হয়।
শাওন সদরের দেওভোগ হাজীবাড়ির মজিবুর রহমানের ছেলে।
মুন্সীগঞ্জ সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আলমগীর হোসাইন বাংলানিউজকে জানান, খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে পুলিশ শাওনের মরদেহ উদ্ধার করে। রোববার (২৪ ডিসেম্বর) রাতের কোন এক সময় তিনি আত্মহত্যা করেছেন বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে।
মরদেহটি ময়নাতদন্তের জন্য মুন্সীগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে বলে জানান ওসি।
এদিকে, শাওনের স্ত্রী শ্যামলী বেগম বাংলানিউজকে বলেন, ‘শাওন প্রায়ই নেশা করে এসে আমাকে মারধর করতো। সাত বছর আগে প্রথম স্ত্রীর সঙ্গে শাওনের বিবাহ বিচ্ছেদ হওয়ার পর আমার সঙ্গে বিয়ে হয়। আমাদের পরিবারের পাঁচ বছরের ছেলে সন্তান রয়েছে। দুইদিন আগে শাওন বাসায় ফিরে দরজা ভেতর থেকে বন্ধ করে দেয়। পরে আমি ছেলেকে নিয়ে বাবার বাড়িতে চলে যাই। দুপুরে বাড়িওয়ালাকে সঙ্গে নিয়ে দরজা ভেঙে ভেতরে ঢুকে শাওনের ঝুলন্ত মরদেহ দেখি। নেশার কারণে আমার স্বামী আত্মহত্যা করেছে। ’
বাংলাদেশ সময়: ১৬১০ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২৫, ২০১৭
এনটি