সোমবার (২৫ ডিসেম্বর) দুপুরে ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ময়নাতদন্ত শেষে আল আমিনের মরদেহ স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হয়।
এ সময় আল আমিনের বাবা নুরুল ইসলাম টুটুল জানান, আল আমিন নগরের কাজিরবাজার মাদরাসার ছাত্র ছিলেন।
রোববার (২৪ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় নগরের খাদিম চা বাগান থেকে আল আমিনের মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। পরে রাতেই নিহতের বাবা টুটুল বাদী হয়ে মেয়ে জামাতা দক্ষিণ সুরমার সিলাম এলাকার মৃত লাল মিয়ার ছেলে ফয়সলকে একমাত্র আসামি করে মামলা দায়ের করেন।
সিলেট কোতোয়ালী মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত (ওসি) কর্মকর্তা গোলাম দস্তগীর বাংলানিউজকে জানান, শুক্রবার (২২ ডিসেম্বর) বিকেলে আল আমিনকে বেড়াতে নিয়ে যায় তারই দুলাভাই ফয়সল। রোববার বিকেলে ফয়সলের দেওয়া তথ্যেই খাদিম চা বাগান থেকে হাত-পা বাঁধা অবস্থায় আল আমিনের মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ।
নিহতের পরিবার ও পুলিশ জানায়, দেড় বছর আগে সিলেটের দক্ষিণ সুরমার সিলাম এলাকার লাল মিয়ার ছেলে ফয়সল আহমদের সঙ্গে আল আমিনের বড় বোন আয়েশা বেগমের বিয়ে হয়। বিয়ের পর থেকে আয়েশার সঙ্গে ফয়সলের পারিবারিক বিরোধ দেখা দেয়। এর জেরে আয়েশা বাবার বাড়ি নগরীর টিকরপাড়ায় এসে আর ফেরত যায়নি। কয়েক দিন আগে স্ত্রীকে নিতে আসলে ফয়সলের সঙ্গে আল আমিনের কথা কাটাকাটি হয়। এর প্রেক্ষিতে শুক্রবার (২২ ডিসেম্বর) বিকেলে আল আমিনকে ডেকে নিয়ে শ্বাসরোধ করে হত্যার পর মরদেহ সিলেটের খাদিম চা বাগানে ফেলে আসেন ফয়সল। পরে শনিবার (২৩ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় কিছুই না জানার ভান করে শ্বশুর বাড়িতে আসে ফয়সল। এ সময় বাড়ির লোকজন তার কাছে আল-আমিনের কথা জিজ্ঞাসা করলে তিনি বলেন জানি না। তার কথাবার্তা ও আচরণ সন্দেহ হলে তাকে পুলিশের হাতে তুলে দেওয়া হয়।
পুলিশের রাত ভর জিজ্ঞাসাবাদে আল-আমিনকে হত্যার ঘটনা স্বীকার করেনি ফয়সল। রোববার (২৪ ডিসেম্বর) দুপুরে পুনরায় জিজ্ঞাসাবাদে ফয়সল জানান, আল আমিনকে বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে খাদিমপাড়া চা বাগানের ভেতরে রেখে এসেছে। পরে পুলিশ তাকে নিয়ে চা বাগানের পথে রওয়ানা দেয়। কিন্তু বাগানে যাওয়ার আগেই ফয়সল পুলিশের কাছে স্বীকার করে আল আমিনকে সে হাত-পা বেঁধে গলা টিপে হত্যা করে মরদেহ বাগানে ফেলে রেখেছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৭০৭ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২৫, ২০১৭
এনইউ/আরআইএস/