সোমবার (২৫ ডিসেম্বর) দুপুরে স্থানীয়দের দেওয়া খবরের ভিত্তিতে আদর্শ ফার্নিচার ঘর নামে নিজের ব্যবসা প্রতিষ্ঠান থেকে ওই ব্যক্তির মরদেহটি উদ্ধার করা হয়।
পরে ময়নাতদন্তের জন্য নিহতের মরদেহ বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ (শজিমেক) হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়।
তবে তাকে হত্যা করে ফ্যানের সঙ্গে ঝুলিয়ে রাখা হয় বলে পরিবারের পক্ষ থেকে দাবি করা হচ্ছে। অপরদিকে দায়দেনার ভার সহ্য করতে না পেরে তিনি আত্মহত্যা করেছেন বলে পুলিশের পক্ষ থেকে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে।
নিহত জামাল উদ্দিন শেখ শহরের নারুলী দক্ষিণ পাড়া এলাকার বাসিন্দা। তিনি শেরপুর উপজেলার গাড়ীদহ ইউনিয়নের দশমাইল কলতাপাড়া এলাকায় বসবাস করতেন। সেখান থেকেই ব্যবসা প্রতিষ্ঠান পরিচালনা করতেন তিনি।
স্থানীয়রা জানান, বেলা ১১টার দিকে দোকানের মিস্ত্রি এসে ঘরের দরজা খোলার পর ফ্যানের সঙ্গে রশিতে বাঁধা মালিকের ঝুলন্ত মরদেহ দেখতে পান। এ সময় ওই ব্যক্তির দুই পা বৈদ্যুতিক তার দিয়ে পেঁচানো ছিলো।
বিকেলে বগুড়া শহরের নারুলী টাউন ফাঁড়ি পুলিশের দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা উপ-পরিদর্শক (টিএসআই) শফিকুল ইসলাম নিহতের বিষয়টি নিশ্চিত করে বাংলানিনউজকে বলেন, পরিবারের পক্ষ থেকে হত্যার দাবি করা হলেও প্রাথমিক তদন্তে তিনি দায়দেনার ভার সহ্য করতে না পেরে আত্মহত্যা করেছেন বলে ধারণা করা হচ্ছে।
তবে ময়নাতদন্তের প্রতিবেদন হাতে পাওয়ার পর মৃত্যুর সঠিক কারণ জানা সম্ভব বলেও জানান তিনি।
বাংলাদেশ সময়: ১৮১৬ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২৫, ২০১৭
এমবিএইচ/জিপি