সোমবার (২৫ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় জাতীয় জাদুঘরে বাংলাদেশের ৪৬তম বিজয় দিবস উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখছিলেন তিনি। বক্তব্যের বড় একটি অংশ তিনি বাংলায় বলেন।
বাংলাদেশ-ভারত ফ্রেন্ডশিপ সোসাইটি এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করে।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।
হর্ষ বর্ধন শ্রিংলা বলেন, বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের বিজয় উৎসব ভারত-বাংলাদেশ উভয়ই উদযাপন করে। এই বিজয় উৎসব উদযাপন করে উভয় দেশই গর্ববোধ করে। গণতন্ত্র, ধর্মনিরপেক্ষতার জন্য এদেশের মানুষ যুদ্ধ করেছিল। মুক্তিযুদ্ধে সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দিয়ে ভারতের অনেক সেনা জীবন দিয়েছিলেন।
‘বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও ইন্দিরা গান্ধী দু’দেশের মধ্যে বন্ধুত্বের বিশেষ বন্ধন তৈরি করেন। বর্তমানে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ও বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সেই বন্ধুত্বের সম্পর্ক এক উচ্চমাত্রায় নিয়ে গেছেন। রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর ও কাজী নজরুল ইসলামের সাহিত্যকর্ম দু’দেশের সংস্কৃতিকে ধারণ করে। ভারত ও বাংলাদেশ পৃথিবীতে দ্রুততার সঙ্গে উন্নয়ন করে স্থান করে নিয়েছে। ’
হাইকমিশনার বলেন, বাংলাদেশের সরকার চরমপন্থার বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়ে তা নিয়ন্ত্রণ করতে সক্ষম হয়েছে। শেখ হাসিনা ও নরেন্দ্র মোদীর সময় দু’দেশের উন্নয়ন ও বন্ধুত্বের সোনালি অধ্যায় চলছে। দু’দেশের মানুষের মধ্যে যোগাযোগ আরও বাড়ানোর উপর আমরা গুরুত্ব দিয়েছি। ঢাকা-কলকাতা মৈত্রী ট্রেন এবং খুলনা-কলকাতা বন্ধু ট্রেনে চালু রয়েছে। যাতায়াত ও সীমান্ত চেকিং সহজ করা হয়েছে। দু’দেশের মধ্যকার বন্ধুত্ব আরও দৃঢ় হবে।
**বিজয়ের মাসে বাংলায় বক্তব্য দিলেন হাইকমিশনার শ্রিংলা
বাংলাদেশ সময়: ১৯২০ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২৫, ২০১৭
এসকে/এএ