বুধবার (২৭ ডিসেম্বর) দুপুরে ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে নগর গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশের যুগ্ম-কমিশনার আব্দুল বাতেন এসব কথা বলেন।
এর আগে মঙ্গলবার (২৬ ডিসেম্বর) দিনগত রাতভর রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে ৫৬ ছিনতাইকারীকে আটক করা হয়।
আব্দুল বাতেন বলেন, বিগত কয়েকদিন ধরে গণমাধ্যমে প্রকাশিত খবরে জানা যায় ঢাকায় ছিনতাইয়ের প্রবণতা বেড়েছে। এটাকে আমরা পজিটিভলি নিয়েছি এবং ছিনতাইকারীদের বিরুদ্ধে তৎপরতা বাড়াতে ডিএমপির সব বিভাগের সমন্বয়ে গত বৃহস্পতিবার (২১ ডিসেম্বর) একটি বৈঠক করি।
‘সাধারণত সংঘবদ্ধ ছিনতাইয়ের বিরুদ্ধে অভিযান চালায় ডিবি। কিন্তু বৈঠকের পর আমরা ছিঁচকে চোর, টানা পার্টির বিরুদ্ধেও অভিযান চালাই। অভিযানে ৫৬ ছিনতাইকারীকে আটক করা হয়েছে। ’
তিনি বলেন, যেসব এলাকায় টানাপার্টি বা ছিনতাইকারী বেশি সক্রিয় সেসব স্পটগুলো চিহ্নিত করতে পেরেছি আমরা। এসব স্পটে আমাদের অভিযান অব্যাহত থাকবে।
‘টানা পার্টি’র সদস্যদের কোনো গডফাদার নেই জানিয়ে ডিবির যুগ্ম-কমিশনার বলেন, এরা সাধারণত মাদকসেবী। মাদকের টাকা যোগাড় করতেই নানা ধরনের ছিনতাই করে থাকে তারা। টানা পার্টির ৯৮ শতাংশ সদস্যই মাদকসেবী।
ছিনতাইয়ের হার বেড়ে যাওয়ার কারণ প্রসঙ্গে এই পুলিশ কর্মকর্তা বলেন, একেক সময় ক্রাইমের ধরণ একই ট্রেন্ডের থাকে। এর নির্দিষ্ট কোনো কারণ নেই।
মাদক বেড়ে যাওয়ায় ছিনতাই বেড়েছে কিনা-এমন প্রশ্নের উত্তরে আব্দুল বাতেন বলেন, এটা রিসার্চের ব্যাপার। ঠিক এই কারলে বাড়ছে কিনা- এমনিতে বলা সম্ভব নয়।
‘আমরা আশা করছি ছিনতাইকারীদের বিরুদ্ধে এই অভিযানে নগরবাসীর মনে স্বস্তি ফিরবে। এ ধরনের অপরাধীদের ধরতে আমাদের অভিযান অব্যাহত থাকবে,’ যোগ করেন ডিবির ঊর্ধ্বতন এই কর্মকর্তা।
বাংলাদেশ সময়: ১৩৩১ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২৭, ২০১৭
পিএম/এমএ