তিনি বলেছেন, শিক্ষাভবনে অনুষ্ঠানের সংবাদ বেশির ভাগ গণমাধ্যমে যথাযথভাবে তুলে ধরা হলেও কিছু পত্রিকা ও অনলাইন সংবাদমাধ্যমে তা খণ্ডিতভাবে প্রকাশ হয়েছে। এ জন্য আমার বক্তব্য নিয়ে জনমনে বিভ্রান্তি সৃষ্টি হয়।
বুধবার (২৭ ডিসেম্বর) সচিবলাযে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে আয়োজিত প্রেস ব্রিফ্রিংয়ে শিক্ষামন্ত্রী এসব কথা বলেন।
‘ঘুষের সহনীয় মাত্রা’ বিষয়ক শিক্ষামন্ত্রীর ওই বক্তব্য স্পষ্ট করতে এ সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়।
শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ বলেন, ২০০৯ সালে আওয়ামী লীগ সরকার দায়িত্ব নেওয়ার সময় শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের অধীনে বিভিন্ন দফতর, অধিদফতর ও সংস্থার মধ্যে ভাবমূর্তির দিক থেকে সবচেয়ে পিছিয়ে ছিল পরিদর্শন ও নিরীক্ষা অধিদফতর (ডিআইএ)।
‘তখন চরম দুর্নীতি, অব্যবস্থাপনা ও মনিটরিং দুর্বলতা ছিল দৃশ্যমান। কর্মকর্তারা দুর্নীতিতে আকণ্ঠ নিমজ্জিত ছিলেন। সেই সময় ডিআইএ কর্মকর্তারা স্কুল-কলেজে পরিদর্শনে গিয়ে অসহায় শিক্ষক-কর্মচারীদের কাছ থেকে লাখ লাখ টাকার ঘুষ গ্রহণ করেছেন। ’
তিনি বলেন, ‘ওই সময় শিক্ষক-কর্মচারীরা মনে করতে বাধ্য হতেন- তাদের দেওয়া ঘুষের অর্থ শুধু পরিদর্শনকারী-ই নন, তা আমলারাও যেমন পান, তেমনই মন্ত্রী হিসেবে আমিও পাই। ওই সময়ে ঘুষ-দুর্নীতি থেকে কর্মকর্তাদের বিরত রাখার পরিবেশ ছিল না। ’
‘অনেক শিক্ষকই এসে আমার কাছে কান্নাকাটি করে বলতেন-আমি নিম্ন বেতনের চাকরি করি, এতো টাকা কোথা থেকে দেবো? এক মাসের বেতনের টাকা দিলে পরিবার-পরিজন চলতে পারবো না,’ বলেন নাহিদ।
শিক্ষামন্ত্রী বলেন, ‘তখন অনেকেই মন্তব্য করতেন-ঘুষের মাত্রা সহনীয় হলে বাঁচতেন তারা। আর গত ২৪ ডিসেম্বরের অনুষ্ঠানে এই উদাহরণ তুলে ধরতে গিয়েই বলেছিলাম- ঘুষের সহনীয় মাত্রা এবং অফিসাররা চোর, মন্ত্রী চোর। ’
‘কিন্তু আমার বক্তব্যের খণ্ডিত অংশ প্রকাশ করে জনমনে বিভ্রান্তি সৃষ্টি করা হয়েছে। আর এ সুযোগে কতিপয় বিশিষ্টজন ও রাজনৈতিক ব্যক্তিত্বের মতামতও মানুষের মধ্যে বিভ্রান্তি ছড়াচ্ছে। ’
এ সময় শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৪০৪ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২৭, ২০১৭
এসই/এমএ/