তলবকৃতরা হলেন, এবি ব্যাংকের সাবেক চেয়ারম্যান এম ওয়াহিদুল হক, সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক এম ফজলুর রহমান, শামিম আহমেদ চৌধুরী এবং হেড অব ফাইন্যান্সিয়াল ইনস্টিটিউট অ্যান্ড ট্রেজারি আবু হেনা মোস্তফা কামাল, হেড অব করপোরেট মাহফুজ উল ইসলাম, হেড অব অফশোর ব্যাংকিং ইউনিট (ওবিইউ) মোহাম্মদ লোকমান, ওবিইউ’র কর্মকর্তা মো. আরিফ নেয়াজ, ব্যাংক কোম্পানি সেক্রেটারি মাহদেব সরকার সুমন এবং প্রধান কার্যালয়ের কর্মকর্তা এম এন আজিম।
বুধবার (২৭ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় বাংলানিউজকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন দুদকের উপ-পরিচালক ও জনসংযোগ কর্মকর্তা প্রণব কুমার ভট্টাচার্য।
তিনি বাংলানিউজকে বলেন, এর আগে ১০ ডিসেম্বর তদন্তের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট তথ্য চেয়ে ব্যাংকটির ব্যবস্থাপনা পরিচালকের কাছে চিঠি দেন দুদকের পরিচালক সৈয়দ ইকবাল হোসেন। ১৩ ও ১৪ ডিসেম্বর এবি ব্যাংকের সাবেক চেয়ারম্যান এম ওয়াহিদুল হক, সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক এম ফজলুর রহমান, শামিম আহমেদ চৌধুরী এবং হেড অব ফাইন্যান্সিয়াল ইনস্টিটিউট অ্যান্ড ট্রেজারি আবু হেনা মোস্তফা কামালকে দুদকে হাজির হতে বলা হয়। কিন্তু তারা হাজির না হয়ে দুদকে উপস্থিত হতে সময়ের আবেদন করেন। অবশেষে বুধবার আবার তাদের হাজির হতে চিঠি পাঠানো হয়েছে।
প্রণব কুমার আরও বলেন, বৃহস্পতিবার সকালে সাবেক চেয়ারম্যান ওয়াহিদুল হক ও সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক এম ফজলার রহমানকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে। এছাড়া ব্যাংকের সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক শামিম আহমেদ চৌধুরী ও হেড অব ফাইন্যান্সিয়াল ইনস্টিটিউট অ্যান্ড ট্রেজারি আবু হেনা মোস্তফা কামালকে ৩১ ডিসেম্বর হাজির হতে বলা হয়েছে। আর বাকীদের আগামী ২ জানুয়ারি জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে।
দুদক সূত্রে জানা গেছে, সিঙ্গাপুরে একটি অফশোর প্রতিষ্ঠান তৈরি করে অর্থ পাচার করেছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। যার মাধ্যমে তারা এবি ব্যাংকের অফশোর ইউনিটের মাধ্যমে ৪ কোটি ২৫ লাখ ৪০ হাজার ডলার যা বাংলাদেশি টাকায় ৩৪০ কোটি পাচার করেছেন।
বাংলাদেশ সময়: ২০৩৬ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২৭, ২০১৭
এসজে/এসএইচ