প্রতিটি পরিবার পাবে ৬৫ ওয়াট ক্ষমতাসম্পন্ন সৌর প্যানেল। এতে ৬টি করে বাল্ব জ্বালানোর পাশাপাশি মোবাইল-ল্যাপটপও চালানো যাবে।
‘পার্বত্য চট্টগ্রামের প্রত্যন্ত এলাকায় সোলার প্যানেল স্থাপনের মাধ্যমে বিদ্যুৎ সরবরাহ’ প্রকল্পের আওতায় এ উদ্যোগ বাস্তবায়ন করছে পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয়। ২০১৫ সালের জুন থেকে চলমান প্রকল্পটি আর মাত্র ছয়মাসের মধ্যেই শতভাগ বাস্তবায়িত হবে।
মন্ত্রণালয় সূত্র জানায়, মোট ৪০ কোটি টাকা ব্যয়ে রাঙামাটি জেলার সদর, কাউখালি, কাপ্তাই, রাজস্থলী, বরকল, বিলাইছড়ি, লংগদু,বাঘাইছড়ি, নানিয়ারচর ও জুরাইছড়ি, বান্দরবান জেলার সদর, রুমা, লামা, আলীকদম, নাইক্ষ্যংছড়ি, রোয়াংছড়ি ও থানচি এবং খাগড়াছড়ি জেলার পানছড়ি, মহালছড়ি, লক্ষীছড়ি, দিঘীনালা, মাটিরাঙ্গা, মানিকছড়ি, গুইমারা ও রামগড়ে প্রকল্পটি বাস্তবায়িত হচ্ছে।
আগামী ২৫ থেকে ৩০ বছরের মধ্যে এসব উপজেলার যেসব ইউনিয়নে জাতীয় গ্রিডলাইন স্থাপন সম্ভব নয়, সেগুলোতেই অতিদরিদ্রদের অগ্রাধিকার দিয়ে সৌরবিদ্যুৎ পৌঁছে দেওয়া হচ্ছে।
সূত্র জানায়, পাহাড়ি ঘরগুলোতে ৩ দশমিক ৮২ কিলোওয়াট পিক বিদ্যুতের পাশাপাশি তিন জেলার ২ হাজার ৮১৪টি কমিউনিটি সেন্টারে বিদ্যুৎ সরবরাহ করা হবে। ফলে রাতেও অর্থনৈতিক কাজ করে অতিরিক্ত উপার্জন করতে পারবেন নারীরা।
পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব(উন্নয়ন অধিশাখা) সুদত্ত চাকমা বাংলানিউজকে বলেন, ‘আর্থ-সামাজিক অবস্থার উন্নয়নে বিদ্যুতের ব্যবহার গুরুত্বপূর্ণ হলেও দুর্গম এলাকায় সরবরাহ করা সম্ভব হচ্ছে না। কিন্তু সরকার ২০২১ সালের মধ্যে ঘরে ঘরে বিদ্যুৎ পৌঁছে দেওয়ার অঙ্গীকার করেছে। সে লক্ষ্যেই পাহাড়ি ঘরগুলোতে সৌরবিদ্যুৎ দেওয়া হচ্ছে’।
‘আর মাত্র ছয়মাসের মধ্যে সৌর আলোর ছোঁয়ায় আলোকিত হবে ৫ হাজার ৮৯০টি পরিবার। পর্যায়ক্রমে অন্য প্রকল্পের আওতায় পাহাড়ের বাকি পরিবারগুলোকেও সৌরবিদ্যুৎ সুবিধা দেওয়া হবে। প্রকল্পটি বাস্তবায়নের গতিও ভালো’।
বাংলাদেশ সময়: ২২১০ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২৭, ২০১৭
এমআইএস/এএসআর