বুধবার (০৩ জানুয়ারি) প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে তার কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত মন্ত্রিসভার বৈঠকে এ অনুমোদন দেওয়া হয়।
বৈঠক শেষে সচিবালয়ে এক ব্রিফিংয়ে ‘মানসিক স্বাস্থ্য আইন’ বিল অনুমোদনের বিষয়টি তুলে ধরে মন্ত্রিপরিষদের সচিব মোহাম্মদ শফিউল আলম বলেন, ১৯১২ সালের একটি আইনকে হালনাগাদ করে নতুনভাবে এই আইন করা হচ্ছে।
প্রস্তাবিত আইনে ২৮টি ধারা রয়েছে। মানসিক স্বাস্থ্য সেবা কার্যক্রমের জন্য পরিচালক পদমর্যাদার একজন কর্মকর্তাকে দিয়ে একটি অধিদপ্তর প্রতিষ্ঠা করা হবে। জেলা পর্যায়ে মানসিক স্বাস্থ্য রিভিউ মনিটরিং কমিটি গঠনের কথা বলা হয়েছে, যার সভাপতি হবেন জেলা প্রশাসক।
নতুন আইনের অধীনে মানসিক হাসপাতাল স্থাপন করা হবে জানিয়ে তিনি বলেন, আগে থেকে যেটা করা হয়েছে সেটা এই আইনে চলবে। বেসরকারি মানসিক হাসপাতাল খোলার লাইসেন্স দেওয়ার বিধান রাখা হয়েছে খসড়া আইনে। এতে মানসিক হাসপাতাল তল্লাশি ও জব্দের ব্যবস্থাও রাখা হয়েছে।
প্রস্তাবিত আইন কার্যকরের ৯০ দিনের মধ্যে যে মানসিক হাসপাতালগুলো আছে সেগুলোকে লাইসেন্স নিতে হবে। এই আইন লঙ্ঘন করলে শাস্তি পেতে হবে। বেসরকারি মানসিক হাসপাতাল স্থাপনের লাইসেন্স দেওয়া, নবায়ন, ফি- এগুলো বিধি দিয়ে নির্ধারণ করা হবে।
শফিউল জানান, কোনো ব্যক্তি বা কোম্পানি লাইসেন্স বিহীন মানসিক হাসপাতাল চালালে সর্বোচ্চ পাঁচ লাখ টাকা জরিমানা বা তিন বছরের কারাদণ্ড বা উভয় দণ্ডে দণ্ডিত হবে। একই অপরাধ আবার করলে সর্বোচ্চ ২০ লাখ টাকা জরিমানা বা পাঁচ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড বা উভয় দণ্ড দেওয়া হবে।
মানসিকভাবে অসুস্থ ব্যক্তিকে অপরাধের কাজে ব্যবহার করলে প্ররোচনাকারীকে পাঁচ লাখ টাকা জরিমানা বা দুই বছরের কারাদণ্ড বা উভয় দণ্ড দেওয়া হবে।
অভিভাবক বা ব্যবস্থাপক মানসিক অসুস্থতায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা বা সম্পত্তির তালিকা প্রণয়ন বা ব্যবস্থাপনার দায়িত্বে অবহেলা বা আদালতের কোনো নির্দেশনা অমান্য করলে পাঁচ লাখ টাকা অর্থদণ্ড বা তিন বছরের কারাদণ্ড বা উভয় দণ্ডে দণ্ডিত হবেন।
বাংলাদেশ সময়: ২০৩৩ ঘণ্টা, জানুয়ারি ০৩, ২০১৮
এসএম/এমআইএইচ/এনটি