ঢাকা, বুধবার, ১২ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ নভেম্বর ২০২৪, ২৫ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

নির্বাচনকালীন সরকারে বাদ পড়বেন অনেকেই, ছোট হবে আকার

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৮৫৪ ঘণ্টা, জানুয়ারি ৩, ২০১৮
নির্বাচনকালীন সরকারে বাদ পড়বেন অনেকেই, ছোট হবে আকার

ঢাকা: বিগত নির্বাচনের মতো আগামীতেও নির্বাচনকালীন সরকার ছোট হয়ে যাবে। বর্তমান মন্ত্রিসভার কিছু সদস্য ওই নির্বাচনকালীন সরকারে থাকবেন। এর বাইরেও নতুন করে কেউ কেউ নির্বাচনকালীন মন্ত্রিসভায় স্থান পেতে পারেন। তবে সংবিধান অনুযায়ী ওই মন্ত্রিসভা গঠিত হবে জনগণের ভোটে নির্বাচিত প্রতিনিধি অর্থাৎ কেবলমাত্র জাতীয় সংসদের সদস্যদের নিয়েই।

বুধবার (০৩ জানুয়ারি) নতুন চার মন্ত্রী-প্রতিমন্ত্রীকে দফতর দেওয়া হয়েছে। রদবদল করা হয়েছে চারজনের।

সে হিসেবে এ প্রক্রিয়া শুরু হয়ে গেছে।

সরকার ও আওয়ামী লীগের নীতিনির্ধারণী পর্যায়ের একাধিক নেতার সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, নির্বাচনের সময় সংবিধান অনুযায়ী নির্বাচিত প্রতিনিধিদের নিয়ে গঠিত নির্বাচনকালীন সরকারই দায়িত্ব পালন করবে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বর্তমানে যে মন্ত্রিসভা রয়েছে সেটাকেই ছোট করে নির্বাচনকালীণ মন্ত্রিসভা গঠন করা হবে। শেখ হাসিনাই ওই নির্বাচনকালীন মন্ত্রিসভার প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করবেন। মন্ত্রিসভার অধিকাংশ সদস্যই নির্বাচনকালীন সরকার থেকে বাদ পড়বেন। এর আগে গত নির্বাচনেও এ পদ্ধতি অনুসরণ করা হয়।

২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারির নির্বাচনের আগে ৫৮ সদস্যের মন্ত্রিসভাকে ছোট করে নির্বাচনকালীন সরকারের ২৯ সদস্যের মন্ত্রিসভা গঠন করা হয়। এর মধ্যে ৬ মন্ত্রী এবং ২ প্রতিমন্ত্রীকে নতুন অন্তর্ভূক্ত করা হয়। বাকীরা সবাই পুরোনো মন্ত্রিসভার সদস্য ছিলেন। এই ২৯ সদস্যের মন্ত্রিসভা প্রত্যেকেই নির্বাচিত প্রতিনিধি অর্থাৎ জাতীয় সংসদ সদস্য ছিলেন।  

নির্বাচনী তফসিল ঘোষণার তিন দিন আগে ২০১৩ সালের ২১ নভেম্বর এই নির্বাচনকালীন মন্ত্রিসভা দায়িত্ব গ্রহণ করে। ২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারি দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। আগামী নির্বাচনেও এই একই পদ্ধতিতে এগুচ্ছে সরকার।

এদিকে, বর্তমান মন্ত্রিসভায় নতুন করে চারজন মন্ত্রী-প্রতিমন্ত্রী যুক্ত হওয়ায় মন্ত্রিসভা ৩৩ মন্ত্রী এবং প্রতিমন্ত্রী দাঁড়ালো ১৭ জনে। এ মন্ত্রিসভায় রয়েছেন দু’জন উপমন্ত্রী। প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ দূত হিসেবে রয়েছেন হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ। এছাড়াও তার উপদেষ্টা হিসেবে মন্ত্রীর পদমর্যাদায় রয়েছেন পাঁচজন উপদেষ্টা। অর্থাৎ প্রধানমন্ত্রীসহ বর্তমান মন্ত্রিসভার সদস্য সংখ্যা ৫৯ জন।

নির্বাচনকালীন সরকারের এ মন্ত্রিসভার সদস্য অর্ধেকের নীচে নেমে আসতে পারে বলেই বিশ্লেষকদের ধারণা।

বর্তমান দশম সংসদের প্রথম অধিবেশন বসে ২০১৪ সালের ২৯ জানুয়ারি। সে অনুযায়ী আগামী ২০১৯ সালের ২৮ জানুয়ারি বর্তমান সংসদের মেয়াদ ৫ বছর পূর্ণ হবে। সংবিধান অনুযায়ী এর ৯০দিন আগে অর্থাৎ ২৯ অক্টোবর থেকে যে কোনো দিন একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।

সরকার ও আওয়ামী লীগের একাধিক সূত্র জানায়, চলতি বছর ডিসেম্বরের মধ্যেই নির্বাচন করতে চায় দলটির নীতিনির্ধারকরা। সেক্ষেত্রে ২৭ ডিসেম্বর বৃহস্পতিবার হয়। পরদিন শুক্রবার সাপ্তাহিক ছুটির দিন। তাই ২৭ ডিসেম্বর দিনটিতে নির্বাচন হতে পারে বলে দলটির কারো কারো মতো রয়েছে। সময়ের এই হিসাব অনুযায়ী নভেম্বরের শেষ দিকে নির্বাচনকালীন সরকার গঠনের সম্ভাবনা রয়েছে।

বাংলাদেশ সময়: ০০৫২ ঘণ্টা, জানুয়ারি ০৪, ২০১৭
এমআইএইচ/এসকে/এসএইচ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।