বৃহস্পতিবার (০৪ জানুয়ারি) রাজধানীর ধানমন্ডি ৩২ নম্বরে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানানোর পর সাংবাদিকদের এই কথা বলেন তিনি।
নতুন মন্ত্রী বলেন, হাওরের কাদা মাখা পা নিয়ে জাতির জনকের প্রতিকৃতিতে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানিয়ে মন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করতে যাচ্ছি।
এক প্রশ্নের জবাবে মোস্তাফা জব্বার বলেন, এক বছরে মন্ত্রণালয়ের সব সমস্যা সমাধান সম্ভব না। আবার তা অসম্ভবও না। তথ্যপ্রযুক্তিতে যারা কাজ করেন তারা অন্তত অসম্ভব বলেন না। সুতরাং এক বছর যদি শ্রম দিই, তাহলে এক বছর পর ফলাফল পাবো।
দু’টি কারণে আজকের দিনটি ঐতিহাসিক উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, একটি হচ্ছে, বাংলাদেশ ছাত্রলীগের জন্মদিন। আরেকটি হচ্ছে, ১৯৯৮ সালের এই দিনে আওয়ামী লীগ সরকার বাংলাদেশের কম্পিউটারের বিভিন্ন সফটওয়্যারের ওপর থেকে শুল্ক প্রত্যাহার করেছিল। আর সে কারণে আমি ভাগ্যবান। আর এই দিনে আমার মন্ত্রী হিসেবে প্রথম দায়িত্ব পালন করতে যাচ্ছি। এজন্য স্রষ্টার প্রতি কৃতজ্ঞতা জানাই। কৃতজ্ঞতা জানাই জাতির জনক বঙ্গবন্ধুর প্রতি, যিনি বাংলাদেশ নামক দেশটির জন্ম দিয়েছেন।
২০২১ সাল আমাদের জন্য একটি মাইলফল। প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে ২০২১ সালের ১৬ ডিসেম্বরের মধ্যে দেশকে ডিজিটাল বাংলাদেশে রূপান্তর করতে পারবো। এর মধ্য দিয়ে জাতির জনকের সোনার বাংলা গড়ে তোলার স্বপ্ন বাস্তবায়ন করতে পারবো, যোগ করেন মন্ত্রী।
এই সময় তার মন্ত্রণালয়ের সচিবসহ বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
মঙ্গলবার (০২ জানুয়ারি) সন্ধ্যায় টেকনোক্র্যাট কোটায় মোস্তাফা জব্বার মন্ত্রী হিসেবে শপথ পাঠ করেন। এরপর দিন বুধবার (০৩ জানুয়ারি) তাকে ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব দেওয়া হয়।
ওই দিন বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব সফটওয়্যার অ্যান্ড ইনফরমেশন সার্ভিসেস’র (বেসিস) সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে নতুন এই মন্ত্রী বলেন, আইসিটি ও টেলিকম সেক্টরের যতটা খারাপ অবস্থার কথা শুনতাম, অবস্থা তার চেয়েও অনেক খারাপ। এই সেক্টরে আরো হাজার সমস্যা আছে। টেলিকমের সমস্যাগুলো ক্যান্সারের মতো বাসা বেঁধেছে। আমরা যা জানিও না। সমস্যা সমাধানের কোনো উদ্যোগও নেই।
বাংলাদেশ সময়: ১২৩৭ ঘণ্টা, জানুয়ারি ০৪, ২০১৮
এমএফআই/এসআই