শুক্রবার (৫ জানুয়ারি) বিকেল সোয়া ৫টার দিকে তার শেষকৃত্যানুষ্ঠান সম্পন্ন হয়। এর আগে ইউপিডিএফ নেতাকর্মীরা তার মরদেহে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানান।
বুধবার সকালে জেলা শহরের গোলাবাড়ি এলাকার বাসার গেটের সামনে থেকে তুলে নিয়ে স্লুইচ গেট এলাকায় মিঠুন চাকমাকে গুলি করে হত্যা করে সন্ত্রাসীরা। মিঠুন প্রসীত খীসার নেতৃত্বাধীন ইউপিডিএফের সংগঠক ছিলেন। মৃত্যুর দিন ছিল একমাত্র ছেলে তিয়াজের দ্বিতীয় জন্মবার্ষিকী।
শুক্রবার শহরের স্বনির্ভর এলাকায় মিঠুনের মরদেহে দলের পক্ষ থেকে শ্রদ্ধা নিবেদন করা হয়। পরে বিকেল সাড়ে ৩টায় মরদেহ বাসা থেকে মৌন পদযাত্রার মাধ্যমে বটতলীর পারিবারিক শ্মশানে নিয়ে যাওয়া হয়।
সেখানে সংগঠনের নেতাকর্মীসহ সর্বস্তরের জনগণ তাকে শেষবারের মতো দেখতে ভিড় করেন। ইউপিডিএফ’র দলীয় পতাকা মোড়ানো কফিনে সংগঠনের পক্ষ থেকে শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে সর্বস্তরের জনগণের জন্য উন্মুক্ত করে দেওয়া হয়।
পরে সেখানে সংক্ষিপ্ত শোক সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। এতে বক্তব্য রাখেন ইউপিডিফ’র বান্দরবান সংগঠক ছোটন কান্তি তঞ্চংগ্যা, মানবাধিকার সংগঠক সাদিয়া গুলরুখ, কেন্দ্রীয় ছাত্র ফেডারেশনের সভাপতি এস এম শাহাদাত লেনিনসহ অন্যান্যরা।
এদিকে মিঠুন চাকমা’র হত্যার প্রতিবাদ এবং হত্যাকারীদের অবিলম্বে গ্রেফতারের দাবিতে শনিবার সকাল-সন্ধ্যা সড়ক অবরোধের ডাক দিয়েছে ইউপিডিএফ এবং সমর্থিত অন্যান্য সংগঠনগুলো। শুরু থেকে এ হত্যাকাণ্ডের জন্য সদ্য নব গঠিত ইউপিডিএফ-গণতান্ত্রিক সংগঠনকে দায়ী করেছে প্রসীত খীসার নেতৃত্বাধীন ইউপিডিএফ।
বাংলাদেশ সময়: ২০১০ ঘণ্টা, ০৫ জানুয়ারি, ২০১৮
আরএ