শনিবার (৬ জানুয়ারি) দুপুর ১২টার দিকে মোনাজাত শুরু হয়। মোনাজাত পরিচালনা করেন মাওলানা মো. মোশারফ হোসেন।
মোনাজাতে স্থানীয় সংসদ সদস্য অধ্যাপক ডা. হাবিবে মিল্লাত মুন্না, পুলিশ সুপার মিরাজ উদ্দিন আহমেদ, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) মুহাম্মদ কামরুল হাসান, স্থানীয় সরকার বিভাগের উপ-পরিচালক আবু নুর মো. শামছুজ্জামানসহ প্রশাসনের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা শরীক হন।
এদিকে মোনাজাতে অংশ নিতে সকাল থেকেই দলে দলে মুসল্লিরা পায়ে হেঁটে ইজতেমা ময়দানে আসতে শুরু করেন। এসময় শহরের প্রধান প্রধান সড়কগুলোতে যানবাহন চলাচল বন্ধ করে দেয়া হয়। ধীরে ধীরে ইজতেমা ময়দান কানায় কানায় পূর্ণ হয়। একপর্যায়ে ইজতেমা ময়দানের উত্তরে প্রায় দুই কিলোমিটার পাউবোর ক্রসবার-৩ বাঁধ, মালশাপাড়া-বাজার স্টেশন সড়কের আড়াই কিলোমিটার, মিরপুর সড়ক ও পুরাতন ওয়াপদা বাঁধে বসেই হাজার হাজার মুসল্লি মোনাজাতে অংশ নেন।
সিরাজগঞ্জ তাবলিগ জামায়াতের আমির মাওলানা মো, আব্দুর রশিদ জানান, আখেরি মোনাজাতে ৫ লাখ মুসল্লি অংশ নিয়েছেন। গত বছরের চেয়ে দিগুণ পরিসরে ইজতেমার ময়দান তৈরি করা হলেও তা পরিপূর্ণ হয়ে ওয়াপদা বাঁধসহ বিভিন্ন সড়কে অবস্থান নিয়ে মোনাজাত করেছেন মুসল্লিরা।
এর আগে বৃহস্পতিবার (৪ জানুয়ারি) যোহরের নামাজ শেষে আম বয়ানের মধ্য দিয়ে যমুনার পাড়ে চায়না ক্রসবার-৩ বাঁধের দক্ষিণ পাশে জেগে ওঠা বিশাল চরে ইজতেমা শুরু হয়। তিন দিনব্যাপী ইজতেমায় দেশি-বিদেশি আলেমরা পবিত্র কোরআন ও বিশ্বনবীর সুন্নতের কথা আলোচনা করেন। সিরাজগঞ্জ জেলার ৯টি উপজেলা ছাড়াও ইজতেমায় বগুড়া, টাঙ্গাইল, জামালপুর, নাটোর ও পাবনা জেলার মুসল্লিরা শরীক হন।
বাংলাদেশ সময়: ১৪৩৯ ঘণ্টা, জানুয়ারি ০৬, ২০১৮
আরবি/