আবাহাওয়া অধিদফতর বলছে, দেশের কোথাও মাঝারি, কোথাও হালকা কোথাও তীব্র শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে। এছাড়া বেড়েছে কুয়াশা।
তাপমাত্রা ৪ ডিগ্রি থেকে ৬ ডিগ্রি হলে তা তীব্র শৈত্যপ্রবাহ বলে গণ্য করা হয়। এছাড়া ৬ থেকে ৮ ডিগ্রি তাপমাত্রা হলে মাঝারি এবং তাপমাত্রা ৮ থেকে ১০ ডিগ্রি হলে তা হালকা শৈত্যপ্রবাহ বলে ধরা হয়।
ঢাকা জেলা ও তার আশপাশে শনিবারের (৬ জানুয়ারি) তাপমাত্রা বিরাজ করছে ১৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস। রাতে আরো ৩ ডিগ্রির মতো কমবে।
আবাহওয়া অফিস শনিবার সকাল থেকে আগের ২৪ ঘণ্টার এক পরিসংখ্যান থেকে জানিয়েছে, ঢাকা বিভাগের সর্বনিম্ন তাপামাত্রা ছিল গোপালগঞ্জে, ৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস; টাঙ্গাইল ও ফরিদপুর ৯ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলিসিয়াস, মাদারীপুরে ১১ দশমিক ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস এবং নিকলিতে ১১ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
আর দেশের সবচেয়ে কম তাপমাত্রা ছিল রাজশাহী ও চুয়াডাঙ্গায়, সেখানে ৫ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করেছে আবহাওয়া অধিদফতর। অর্থাৎ, এই দুই স্থানে তীব্র শৈত্যপ্রবাহ চলছে।
এছাড়া ঈশ্বরদীতে ৭ দশমিক ২ ডিগ্রি, বগুড়ায় ৮ ডিগ্রি, বদলগাছীতে ৭ দশমিক ৫ ডিগ্রি, তাড়াশে ৮ দশমিক ৮ ডিগ্রি, রংপুরে ১০ ডিগ্রি, দিনাজপুরে ৭ দশমিক ৪ ডিগ্রি, সৈয়দপুরে ৮ দশমিক ৫ ডিগ্রি, তেঁতুলিয়ায় ৯ দশমিক ৪ ডিগ্রি, রাজারহাটে ১০ ডিগ্রি, খুলনায় ৯ দশমিক ৮ ডিগ্রি, সাতক্ষীরায় ৯ ডিগ্রি, কুমারখালীতে ৯ ডিগ্রি, শ্রীমঙ্গলে ৯ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলিসিয়াস তাপামাত্রা রেকর্ড করেছে আবহাওয়া অধিদফতর।
আবহাওয়াবিদ নিঝুম রোকেয়া আহমেদ বাংলানিউজকে জানান, রাত থেকে সকাল পর্যন্ত ঘন কুয়াশা পড়তে শুরু করেছে। তবে দেশের সব জায়গায় একই অবস্থা নয়। কোথাও কোথাও ঘন, কোথাও মাঝারি থেকে ঘন কুয়াশা। এটি দেশের অনেক স্থানে দুপুর পর্যন্ত অব্যাহত থাকবে। আবহাওয়ার বর্তমান পরিস্থিতি অব্যাহত থাকবে ১১ জানুয়ারি পর্যন্ত। এ সময় রাত থেকে সকাল পর্যন্ত কুয়াশাজনিত কারণে সতর্কতা সংকেতও থাকবে।
বাংলাদেশ সময়: ১৫৫৪ ঘণ্টা, জানুয়ারি ০৬, ২০১৮
ইইউডি/এএ