তিনি বলেন, জঙ্গিবাদ ও উগ্র সাম্প্রদায়িকতা প্রতিরোধ এবং ধর্মীয় সম্প্রীতি বৃদ্ধির লক্ষ্যে প্রধানমন্ত্রী বাংলাদেশের বিভিন্ন বিভাগ, জেলা পর্যায়ে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষের সঙ্গে মতবিনিময় করেছেন। ফলে জনমনে স্বস্তি ফিরে এসেছে, মানুষ জঙ্গিবাদ বিরোধী চেতনায় উজ্জীবিত হয়েছে।
রোববার (০৭ জানুয়ারি) সন্ধ্যায় দশম জাতীয় সংসদের ১৯তম অধিবেশনে রাষ্ট্রপতি তার ভাষণে এ কথা বলেন।
রাষ্ট্রপতি বলেন, দেশে আইনের শাসন সুসংহত ও সমুন্নত রাখার ক্ষেত্রে বর্তমান সরকার সর্বাত্মক প্রচেষ্টা অব্যাহত রেখেছে। জাতির পিতা ও তার পরিবারের সদস্যদের হত্যাকারী পলাতক খুনিদের আইনের আওতায় আনার প্রচেষ্টা চলমান রয়েছে।
আবদুল হামিদ বলেন, একুশে আগস্ট গ্রেনেড হামলা ও হত্যা মামলা বিচারিক আদালতে চূড়ান্ত নিষ্পত্তির পর্যায়ে রয়েছে। আর্ন্তজাতিক অপরাধ ট্রাইবুনাল ১৯৭১ সালে সংঘটিত যুদ্ধাপরাধের বিচার সম্পন্ন করেছে এবং বিচারের রায় কার্যকর হচ্ছে।
দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনের কথা উল্লেখ করে রাষ্ট্রপতি বলেন, সংবিধান সমুন্নত এবং সংসদীয় গণতন্ত্রের ধারা অব্যাহত রেখে ২০১৪ সালে অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের মাধ্যমে দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়।
আওয়ামী লীগ সরকারের লক্ষ্যের কথা জানিয়ে রাষ্ট্রপতি বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন সরকার গত মহাজোট সরকারের ধারাবাহিকতায় বর্তমান সরকার ‘রূপকল্প-২০২১’ দিনবদলের সনদ এবং মুক্তিযুদ্ধের চেতনার আলোকে ক্ষুধা ও দারিদ্র্যমুক্ত একটি প্রগতিশীল, গণতান্ত্রিক, অসাম্প্রদায়িক ও জ্ঞানভিত্তিক ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ার লক্ষ্যে নিরলস প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে।
তিনি বলেন, ২০২১ সালের মধ্যে মধ্যে মধ্য আয়ের দেশ গড়ে তোলার লক্ষ্যে সরকারের নিরবচ্ছিন্ন প্রচেষ্টা ব্যাপক সাফল্য অর্জন করেছে। বাংলাদেশ ইতোমধ্যে নিম্ন মধ্য আয়ের দেশে উন্নীত হয়েছে। এখন জাতির দৃষ্টি নিবদ্ধ হয়েছে ২০৪১ সালের দিকে – বিশ্ব সভায় একটি উন্নত দেশের মর্যাদায় অভিষিক্ত হওয়ার মানসে। আমি দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি সরকারের উন্নয়নের এ ধারা অব্যাহত রেখে জাতির আকাঙ্ক্ষা পূরণে সফল হবে।
রোহিঙ্গা সংকট সমাধানে সরকার জোর কূটনৈতিক তৎপরতা চালিয়ে যাচ্ছে জানিয়ে আবদুল হামিদ বলেন, ১৯-২৩ সেপ্টেম্বর ২০১৭ মেয়াদে নিউইর্য়কে অনুষ্ঠিত জাতিসংঘ পরিষদের ৭২তম অধিবেশনে সাধারণ বির্তক পর্বে দেওয়া বক্তব্যে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা রোহিঙ্গা সমস্যার মূলকারণ সমূহ তুলে ধরে এর স্থায়ী সমাধানের লক্ষ্যে পাঁচটি সুনির্দিষ্ট প্রস্তাব পেশ করে দ্রুত কার্যকর উদ্যোগ গ্রহণের জন্য জাতিসংঘ এবং আর্ন্তজাতিক সম্প্রদায়ের প্রতি আহ্বান জানান। যা সর্ব মহলে সমাদৃত হয়।
তিনি বলেন, রাখাইন রাজ্যে নিজ ভূখণ্ড থেকে জাতিগত নিধনের ফলে বলপূর্বক বাস্তুচ্যুত মিয়ানমারের ১০ লাখের অধিক নাগরিককে আশ্রয়, সুরক্ষা ও মানবিক সহায়তা প্রদানের কারণে বাংলাদেশ জাতিসংঘসহ আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের কাছে প্রশংসিত হয়েছে।
সরকার প্রবৃদ্ধির ধারা স্থিতিশীল রাখতে সক্ষম হয়েছে
দলমত পার্থক্য ভুলে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান
মানুষের সম্মান পাওয়া রাজনীতিকের বড় অর্জন
প্রয়াত মন্ত্রী, মেয়র ও এমপিদের নামে শোক প্রস্তাব
বাংলাদেশ সময়: ১৯৫৩ ঘণ্টা, জানুয়ারি ০৭, ২০১৮
এসকে/এমইউএম/এসএম/এমজেএফ