দিনমজুর অভাবী মানুষরা ঘর থেকে বের হতে না পারায় একেবারে কর্মহীন হয়ে পড়েছে। শীতবস্ত্রের পাশাপাশি এসব অভাবী মানুষদের জন্য এ মুহূর্তে খাদ্য সহায়তা জরুরি হয়ে পড়েছে।
সোমবার (৮ জানুয়ারি) জেলার তেঁতুলিয়া উপজেলা ঘুরে দেখা গেছে, অনেকেই শীতের তীব্রতার কারণে কাজ ছাড়া ঘর থেকে বের হচ্ছেন না। যে যেখানে পারছেন খর-কুটা জ্বালিয়ে শীত নিবারণের চেষ্টা করছেন। অতিরিক্ত ঠাণ্ডার কারণে শহর-বাজারে লোকজনের আনাগোনাও কমে গেছে। ঠাণ্ডায় নিম্ন আয়ের লোকজন শীতে গরম কাপড়ের অভাবে বাড়ি থেকে বের হতে না পারায় কাজেও যোগ দিতে পারছেন না। অব্যাহত ঠাণ্ডায় শীত ও শীতজনিত রোগে আক্রান্ত হচ্ছে শিশু ও বয়স্করা। এ অবস্থায় পঞ্চগড়ের শীতার্ত মানুষের জন্য সরকারের সাহায্য আশা করছেন তারা।
পাথর শ্রমিক বরকত আলী (৩০) বাংলানিউজকে বলেন, আজকের প্রচণ্ড ঠাণ্ডায় অনেক দেরিতে কাজে যাচ্ছি। কাজে না গেলে তো ভাত হবে না। তাই এই ঠাণ্ডাকে উপেক্ষা করেও কাজে যেতে হচ্ছে। পাথর শ্রমিক জুমর উদ্দীন জানান, কাজ ছাড়া তো আমাদের ভাত হয় না। ঠাণ্ডা বা গরম যাই হোক আমাদের কাজে যেতেই হবে। তাই একটু দেরি হলেও এখন আমরা কাজে যাচ্ছি।
এদিকে পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়া আবহাওয়া অফিসের আবহাওয়া সহকারী মো. রহিদুল ইসলাম বাংলানিউজকে জানান, সোমবার সকাল ৬টায় তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৩.২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। পরে পৌনে ৯টার দিকে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ২.৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস ৫০ যা বছরের মধ্যে প্রথম।
এর পর দুপুর ১২টা পর্যন্ত সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ১৮.২ ডিগ্রি সেলসিয়স বলে আবহাওয়া অফিস জানায়।
বাংলাদেশ সময়: ১৫৩৭ ঘণ্টা, ০৮ জানুয়ারি, ২০১৮
আরএ