সোমবার (০৮ জানুয়ারি) দুপুরে বৃহত্তর খুলনা উন্নয়ন সংগ্রাম সমন্বয় কমিটির পক্ষ থেকে জেলা প্রশাসক আমিন উল আহসানের কাছে এ স্মারকলিপি পেশ করা হয়।
স্মারকলিপিতে উল্লেখ করা হয়, ২০১০ সালে খুলনায় গ্যাস সরবরাহের কথা ছিলো।
২০১৩ সালে বাগেরহাটের রামপালে প্রায় ৫৪৫ কোটি টাকা ব্যয়ে খানজাহান আলী বিমান বন্দর স্থাপনের অনুমোদন করা হয়। বর্তমানে প্রকল্পটি সম্পূর্ণ স্থবির। অবিলম্বে এসব জটিলতা নিরসন করে খুলনায় বিমানবন্দর দ্রুত বাস্তবায়ন দেখতে চায় খুলনাবাসী। ২০১১ সালের ৫ মার্চ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা খালিশপুরের জনসভায় খুলনায় একটি কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপনের প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন। কাজও শুরু হয়েছিল। কিন্তু প্রকল্পটিতে কোনরূপ দৃশ্যমান অগ্রগতি হয়নি। হিমাগারেই পড়ে আছে প্রকল্পটি।
খুলনা বিভাগীয় সদর থেকে বিভিন্ন স্থানে যাতায়াতের সড়ক-মহাসড়কগুলোর খুবই বেহাল অবস্থা। অবিলম্বে খুলনা-যশোর, খুলনা-পাটুরিয়া, খুলনা-বাগেরহাট, খুলনা-সাতক্ষীরা, খুলনা-মংলা রুটের সড়কগুলো সংস্কার ও সম্প্রসারন জরুরী। এছাড়া জিয়া হল পুনঃনির্মাণ, খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালকে এক হাজার বেডে উন্নীতকরণ ও মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় ঘোষণা, রেল স্টেশন থেকে পাওয়ার হাউজ মোড়, ময়লাপোতা-জিরোপয়েন্ট পর্যন্ত ছয় লেনকরণ, খুলনা টেক্সটাইল পল্লী, খুলনা মেরিন একাডেমী, খুলনা ক্যাডেট কলেজ, বোটানিক্যাল গার্ডেন ও চিড়িয়াখানা নির্মাণ, রাষ্ট্রায়ত্ত পাটকলের ১১ দফা দ্রুত বাস্তবায়নের দাবি খুলনাবাসীর।
স্মারকলিপি পেশ করার সময় উপস্থিত ছিলেন বৃহত্তর খুলনা উন্নয়ন সংগ্রাম কমিটির সভাপতি শেখ মোশাররফ হোসেন, মহাসচিব শেখ আশরাফ উজ জামান, অ্যাডভোকেট এস এম মঞ্জুর উল আলম, সিনিয়র নেতা এস এম দাউদ আলী, সহ-সভাপতি মো. নিজামউর রহমান লালু, শাহীন জামান পন, অ্যাডভোকেট শেখ আবুল কাশেম, মো. ফজলুর রহমান, সাবেক কাউন্সিলর মামনুরা জাকির খুকুমণি, যুগ্ম-মহাসচিব অ্যাডভোকেট শেখ হাফিজুর রহমান হাফিজ, অ্যাডভোকেট শামীমা সুলতানা শিলু প্রমুখ।
বাংলাদেশ সময়: ১৬০৪ ঘণ্টা, জানুয়ারি ০৮, ২০১৮
এমআরএম/এএটি