আগামী ফেব্রুয়ারি থেকে এপ্রিল পর্যন্ত তিন লাখ ৮০ হাজার পরিবারকে ভিজিএফ কর্মসূচির আওতায় মাসিক ৩০ কেজি হারে ৩৪ হাজার ২০০ মেট্রিকটন চাল সংশ্লিষ্ট জেলা প্রশাসকদের অনুকূলে বরাদ্দ দিয়েছে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা অধিদফতর।
২০১৭ সালের মার্চ মাসে পাহাড়ি ঢল ও অতিবৃষ্টির কারণে সুনামগঞ্জ, নেত্রকোণা, কিশোরগঞ্জ, মৌলভীবাজার, হবিগঞ্জ ও সিলেট জেলার বিস্তৃর্ণ হাওরাঞ্চল বন্যার পানিতে প্লাবিত হয়ে বোরোসহ মাছ, হাস-মুরগির ব্যাপক ক্ষতি হয়।
ওই সময়ে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয় ৩১ জুলাই পর্যন্ত ১০০ দিনের কর্মসূচির আওতায় ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলোকে ভিজিএফের আওতায় মাসে ৩০ কেজি করে চাল দেওয়ার ঘোষণা দেয়। পরবর্তীতে আরো দুই দফা বাড়িয়ে খাদ্য সহায়তার সময় ২০১৮ সালের জানুয়ারি পর্যন্ত করা হয়েছিলো।
অধিদফতরের আদেশে বলা হয়েছে, জেলা প্রশাসকরা মঞ্জুরি করা ভিজিএফ চাল বিতরণে সার্বিক তদারকিসহ ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলোকে সঠিকভাবে ইউনিয়ন ও ওয়ার্ডভিত্তিক বিতরণ কার্যক্রম সম্পাদন করবেন।
মানবিক সহায়তা কর্মসূচি বাস্তবায়ন নির্দেশিকা ২০১২-১৩ অনুসরণ করে যথাযথ নিয়মে বিতরণের জন্য আগামী ৩০ এপ্রিলের মধ্যে উত্তোলন করতে পারবেন এবং বিতরণ শেষে নিরীক্ষার জন্য প্রয়োজনীয় হিসাব সংরক্ষণ করবেন।
গত ৪ জানুয়ারি অধিদফতরের আদেশে বলা হয়েছে, আগামী এপ্রিল পর্যন্ত খাদ্য সহায়তা দেওয়ার জন্য দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা অধিদফতর থেকে ছয় জেলা প্রশাসকের কাছে বরাদ্দপত্র দেওয়া হয়েছে।
বরাদ্দপত্র অনুযায়ী, সুনামগঞ্জে এক লাখ ৬৮ হাজার পরিবার, সিলেটে ৫৫ হাজার, নেত্রকোণায় ৫৮ হাজার, কিশোরগঞ্জে ৬৫ হাজার, হবিগঞ্জে ২৯ হাজার ও মৌলভীবাজারে ৫ হাজার পরিবার সহায়তা পাবেন।
পরিবারগুলোর মধ্যে বিতরণের জন্য সুনামগঞ্জে ১৫ হাজার ১২০ টন, সিলেটে ৪ হাজার ৯৫০ টন, নেত্রকোণায় ৫ হাজার ২২০ টন, কিশোরগঞ্জে ৫ হাজার ৮৫০ টন, হবিগঞ্জে ২ হাজার ৬১০ টন ও মৌলভীবাজারে ৪৫০ টন চাল বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ১২২০ ঘণ্টা, জানুয়ারি ০৯, ২০১৮
এমআইএইচ/জেডএস