মঙ্গলবার (০৯ জানুয়ারি) জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের সম্মেলন কক্ষে একটি উন্নয়ন সংস্থার আয়োজনে ‘শিশু সুরক্ষা: আমাদের করণীয়’ শীর্ষক সেমিনারে উপস্থাপন করা প্রতিবেদনে এ তথ্য তুলে ধরা হয়েছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ২০১৭ সালে গণধর্ষণের শিকার হয়েছে ৭০ জন, ধর্ষণের পর হত্যা করা হয়েছে ২২ জনকে, আত্মহত্যা করেছে ৭ জন, যৌন হয়রানির শিকার হয়েছে ৯০ শিশু।
একই সময়ে ৩৩৯ শিশুকে হত্যা করা হয়েছে, যা ২০১৬ সালের চেয়ে ৩৩ শতাংশ বেশি।
প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে, ২০১৭ সালে সামগ্রিকভাবে শিশু নির্যাতন ও নিপীড়ন বেড়েছে ৭ দশমিক ১৩ শতাংশ। যার মধ্যে শিশু ও যৌন নির্যাতন বেড়েছে যথাক্রমে ১৮ দশমিক ৬৭ শতাংশ এবং ৩০ দশমিক ৩২ শতাংশ। দেশের ৬৬ শতাংশ নারীর বিয়ে হয় ১৮ বছর বয়সের আগে। ২৬ মিলিয়ন (২ কোটি ৬০ লাখ) শিশু দারিদ্র্যসীমার নিচে বাস করে। যারা সাতটি মৌলিক চাহিদাই পূরণ করতে পারে না।
তবে এসব থেকে উত্তরণে আলোচকরা বেশ কিছু মতামত দিয়েছেন। যার মধ্যে রয়েছে- শিশু নির্যাতন বন্ধে আইনের যথাযথ প্রয়োগ, নির্যাতনের বিচার দ্রুত আইনে করা, শিশু অধিকার কমিশন গঠন, অপরাধীর সঙ্গে আপস না করলেই শিশুদের সুরক্ষা দেওয়া সম্ভব।
বাংলাদেশ সময়: ১৫৩৫ ঘণ্টা, জানুয়ারি ০৯, ২০১৮
এসই/জেডএস