বরগুনা নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক মো. জুলফিকার আলী খান মামলাটি গ্রহণ করে বরগুনা থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে (ওসি) এজাহার রুজু করার নির্দেশ দিয়েছেন।
এর আগে রোববার (৮ জানুয়ারি) সন্ধ্যায় বরগুনা সদর উপজেলার ৯ নম্বর এম বালিয়াতলী ইউনিয়নে ছোট তালতলী গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
আসামিরা হলেন-একই গ্রামের বারেক, পনু মিয়া, মন্নান সিকদার, সহিদ ও ইসমাইল খাঁ।
মামলার বাদী আবদুল কাদের বাংলানিউজকে জানান, ওই আসামিরা তার প্রতিবেশী। মাদক সেবনের জন্য প্রায়ই তারা তার স্ত্রীর কাছে টাকা চায়তো। টাকা না দেওয়ায় আসামিরা তার স্ত্রীকে যৌন পীড়ন ও উত্ত্যক্ত করে আসছিল। বাধা দিলে আসামিরা আরো ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠে।
রোববার আবদুল কাদের তার স্ত্রীকে নিয়ে সানু মিয়ার বাড়িতে বেড়াতে যান। ওই দিন সন্ধ্যায় ফিরে আসার পথে আসামিরা তাদের পথরোধ করে আবদুল কাদেরকে গলায় চাকু ধরে পাশের একটি গাছে বেঁধে রেখে তার স্ত্রীকে পালাক্রমে ধর্ষণ করে।
এসময় তাদের চিৎকারে স্থানীয়রা এগিয়ে এলে দুর্বৃত্তরা খুনের ভয় দেখিয়ে তাদের তাড়িয়ে দেয়।
বরগুনা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মাসুদুজ জামান বাংলানিউজকে জানান, এ ঘটনায় থানায় কেউ মামলা করতে আসেনি। মামলা করতে এলে অবশ্যই মামলা নিতাম। তারপরও আদালতের আদেশ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেব।
বাংলাদেশ সময়: ২০২৭ ঘণ্টা, ০৯ জানুয়ারি, ২০১৮
আরএ