মঙ্গলবার (০৯ জানুয়ারি) রাজধানীর গুলশানের একটি অভিজাত হোটেলে আয়োজিত ‘ফেয়ার অ্যান্ড ইথিক্যাল রিক্রুটমেন্ট প্র্যাকটিস অব ফিমেল মাইগ্র্যান্ট’ শীর্ষক এক কর্মশালায় বক্তারা এসব কথা বলেন।
রিফিউজি অ্যান্ড মাইগ্র্যাটারি মুভমেন্টস রিসার্চ ইউনিট (আরএমএমআরইউ) আয়োজিত কর্মশালায় সহায়তা করে আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থার ডব্লিউআইএফ প্রজেক্ট।
এতে প্রধান অতিথি ছিলেন জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের আজীবন সদস্য মো. নজরুল ইসলাম। অনুষ্ঠানে বিদেশে নারী কর্মী নিয়োগে বাংলাদেশের চিত্র তুলে ধরে বক্তব্য দেন আরএমএমআরইউ এর সিনিয়র রিসার্চ ফেলো ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের শিক্ষক ড. এএসএম আলী আশরাফ।
বক্তব্য দেন আইএলও কান্ট্রি অফিসের ডেপুটি ডিরেক্টর গগন রাজভান্ডারি, বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব ইন্টারন্যাশনাল রিক্রুটিং এজেন্সির (বায়রা) যুগ্ম মহাসচিব শামীম আহমেদ চৌধুরী নোমান, ইনসাইডইন বাংলাদেশের পলিসি অ্যানালিস্ট অ্যাডভোকেট রফিকুল ইসলাম খান আলম, জনশক্তি, কর্মসংস্থান ও প্রশিক্ষণ ব্যুরোর (বিএমইটি) পরিচালক (প্রশিক্ষণ) ড. মো. নুরুল ইসলাম, অভিবাসী কর্মী উন্নয়ন প্রোগ্রামের চেয়ারম্যান শাকিরুল ইসলাম, কর্মজীবী নারীর নির্বাহী পরিচালক রোকেয়া রফিক, উইমেন’স ইকনোমিক ইমপাওয়ারমেন্ট প্রোগ্রাম বাংলাদেশ কান্ট্রি অফিসের তপতী সাহা প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
বক্তারা বলেন, রেমিটেন্স আয়ে পুরুষ থেকে নারী কর্মীদের অবদান বেশি। তারা তাদের আয়ের শতভাগই দেশে পাঠান। কিন্তু বিভিন্ন দেশে বিশেষ করে মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোতে যৌন হয়রানি, মজুরি না দেওয়াসহ মারধরের শিকার হন তারা।
‘এর কারণগুলোর মধ্যে উল্লেখযোগ্য-তাদের সচেতনতা ও প্রশিক্ষণের অভাব। বিভিন্ন দালালের মাধ্যমে বেশি টাকায় বিদেশে যেতে চান এসব নারী। সেখানকার পরিবেশ সম্পর্কেও তাদের ধারণা থাকে না। ফলে নতুন জায়গায় গিয়ে নানাবিধ সমস্যায় পড়েন তারা। ’
তারা বলেন, এসব সমস্যা থেকে উত্তোরণের জন্য যথাযথ প্রশিক্ষণ প্রয়োজন। পাশাপাশি বিদেশ যাওয়ার বিষয়ে নারী ও পুরুষ উভয়কর্মীর মধ্যে সচেতনতা সৃষ্টি করা জরুরি। এক্ষেত্রে সরকারের পাশাপাশি সংশ্লিষ্টদের উচিত এসব বিষয়ে সচেতন সৃষ্টি করা।
বাংলাদেশ সময়: ০৮২৪ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১০, ২০১৮
এমএ/