প্রচণ্ড কুয়াশার মধ্যে দিনের বেলায় মহাসড়ক ও অভ্যন্তরীণ রুটে হেডলাইট জ্বালিয়ে ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করছে দূরপাল্লার ছোট-বড়সহ সবধরনের যানবাহন। প্রতিদিনই ঘটছে ছোট-বড় দুর্ঘটনা।
বুধবার (১০ জানুয়ারি) সকালে কুড়িগ্রামের রাজারহাট কৃষি আবহওয়া পর্যবেক্ষণ কেন্দ্রে জেলার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৭.৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন উচ্চ পর্যবেক্ষক সুবল চন্দ্র সরকার।
ঘোষপাড়া এলাকায় ভ্যান চালক আমজাদ আলী বাংলানিউজকে জানান, শীতের ঠেলায় কামোত যাবার পাইনা। ঘর থাকি বেরেয়া চাইরোপাকে কিছু দেখা যায় না। কামতে যাবার মন চায় না, হাত পা অবশ হয়া আইসে।
খাজা পরিবহনের চালক ছালাম মিয়া কুড়িগ্রাম শহরের শাপলা চত্বর এলাকায় বাংলানিউজকে বলেন, চারিদিকে ঘন কুয়াশা। ৫ হাত সামনে কিছু দেখা যায় না। ঢাকা থেকে মারাত্মক ঝুঁকি নিয়ে গাড়ি চালিয়ে এসেছি।
এদিকে কুড়িগ্রাম সদর হাসপাতালসহ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সগুলোতে বাড়ছে শীতজনিত রোগে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা। প্রকোপ বেড়েছে ডায়রিয়া, নিউমোনিয়া, শ্বাসকষ্টসহ শীতজনিত রোগের। এসব রোগে শিশুরাই আক্রান্ত হচ্ছে বেশি।
কুড়িগ্রাম সদর হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসক (আরএমও) শাহিনুর রহমান সরদার বাংলানিউজকে জানান, গত ২৪ ঘণ্টায় সদর হাসপাতালে ডায়রিয়া, নিউমোনিয়াসহ বিভিন্ন রোগে ১৮২ জন রোগী ভর্তি রয়েছে। হাসপাতালে চিকিৎসক সংকট থাকলেও যথাসাধ্য চিকিৎসা দেয়ার চেষ্টা করছেন বলে জানান তিনি।
কুড়িগ্রাম জেলা প্রশাসক আবু ছালেহ মোহাম্মদ ফেরদৌস খান বাংলানিউজকে জানান, চলমান শৈত্য প্রবাহের ফলে এ অঞ্চলে যে শীতের প্রভাব দেখা দিয়েছে, এতে করে মানুষের যাতে কোনো অসুবিধা না হয় সে বিষয়ে আমরা কাজ করছি। জেলার ৯ উপজেলায় অসহায় ও দুঃস্থ মানুষের মধ্যে সরকারিভাবে ৫৭ হাজার কম্বল বিতরণ করা হয়েছে। নতুন করে আরো ৫০ হাজার কম্বলের চাহিদা পাঠানো হয়েছে। কম্বল পাওয়া মাত্র বিতরণ করা হবে।
বাংলাদেশ সময়: ১০৪১ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১০, ২০১৮
এফইএস/এসএইচ