রাজশাহী আবহাওয়া অফিসের ভারপ্রাপ্ত আবহাওয়া কর্মকর্তা আশরাফুল আলম বাংলানিউজকে জানান, বুধবার (১০ জানুয়ারি) রাজশাহীতে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৭ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। মঙ্গলবার তাপমাত্রা ছিল ৬ দশমিক ০ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
আশরাফুল আলম বলেন, তাপমাত্রা সাধারণত ১০ ডিগ্রির নিচে নামলে তাকে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ বলে। আর ৮ ডিগ্রির নিচে নামলে মাঝারি এবং ৬ ডিগ্রির নিচে নামলে তীব্র শৈত্যপ্রবাহ বলা হয়। সে অনুযায়ী, রাজশাহীতে এখনও মৃদু শৈত্যপ্রবাহ বইছে।
তবে আশার কথা হচ্ছে তাপমাত্রা বাড়তে শুরু করায় দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়া পরিস্থিতির উন্নতি হচ্ছে। ধীরে ধীরে হলেও তাপমাত্রা বাড়ছে। এক সপ্তাহ আগে মৃদু থেকে তীব্র শৈত্যপ্রবাহ শুরু হয়েছিল রাজশাহী অঞ্চলে। এবার তীব্র থেকে মৃদু শৈত্যপ্রবাহে এসেছে। আবহাওয়ার পূর্বাভাস অনুয়ায়ী ১২ জানুয়ারির মধ্যে শৈত্যপ্রবাহ কেটে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে বলেও জানান রাজশাহীর আবহাওয়া কর্মকর্তা আশরাফুল আলম।
এদিকে, তাপমাত্রা বাড়লেও ভোর থেকে ঘন কুয়াশার চাদরে ঢাকা পড়েছিল রাজশাহী। এ সময় সড়ক-মহাসড়কে যানবাহনগুলোকে হেডলাইট জ্বালিয়ে চলাচল করতে দেখা গেছে। তবে বেলা ১১টার দিকে সূর্যের মুখ দেখা গেছে। পরে ধীরে ধীরে কুয়াশা কেটে যায়।
তবে শীতের তীব্রতা না কমায় সকাল থেকে পথের ধারে ছিন্নমূল মানুষদের খড়কুটো জ্বালিয়ে শরীরে উত্তাপ নিতে দেখা গেছে। নিম্ন ও মধ্যবিত্তরা কম দামে গরম কাপড় কিনতে হুমড়ি খেয়ে পড়ছেন মহানগরীর ফুটপাতের দোকানে।
রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক মো. আসাদুজ্জামান বাংলানিউজকে জানান, শৈত্যপ্রবাহের কারণে শীতজনিত রোগীর সংখ্যা কমছে না। বর্তমানে নবজাতক শিশুরা বেশি নিউমোনিয়ায় আক্রান্ত হচ্ছে।
এছাড়া বিভিন্ন বয়সের শিশু ও বয়স্করাও শীতজনিত বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে সেবা নিতে আসছেন। আক্রান্তদের অনেকেই কোল্ড ডায়রিয়া, শ্বাসকষ্ট, ও হৃদরোগ নিয়ে হাসপাতালে আসছেন বলেও জানান ওই চিকিৎসক।
বাংলাদেশ সময়: ১২১৬ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১০, ২০১৮
এসএস/এমজেএফ