প্রতিদিন সকালে কাজ মিললেও আজ তিনি কোনো কাজ পাননি। শীতের তীব্রতা ও কুয়াশা বেড়ে যাওয়ায় কাজের পরিধিও কমে গেছে।
দুই ছেলে-মেয়ে নিয়ে ছোট সংসার তার। মেয়ে গৌরীপুর স্কুল অ্যান্ড কলেজ থেকে এবার এসএসসি পরীক্ষার্থী ও ছেলে পাবনা এডওয়ার্ড কলেজ বিশ্ববিদ্যালয়ে অনার্স ৩য় বর্ষের ছাত্র।
ঈশ্বরদীতে শৈত্যপ্রবাহ অব্যাহত থাকায় দরিদ্র মানুষ কষ্টে দিনযাপন করছেন। বিশেষ করে ছিন্নমূল মানুষ যেমন- স্টেশন, বাস টার্মিনাল এবং গ্রামীণ জনপদে থাকা মানুষগুলো শীতে অসুস্থ হয়ে পড়ছেন।
ঈশ্বরদী আবহাওয়া অফিসের ইনচার্জ হেলাল উদ্দিন জানান, বুধবার ঈশ্বরদীতে তাপমাত্রা ৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস। তাপমাত্রা কিছুটা বাড়লেও বাতাসের কারণে শীতের তীব্রতা রয়েছে আগের মতোই। ৮ই জানুয়ারি তাপমাত্রা ছিল ৫ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। রোববারও একই তাপমাত্রা ছিল।
৪ঠা জানুয়ারি (বৃহস্পতিবার) থেকে তাপমাত্রা কমতে শুরু করে। ওইদিন সকালে এখানে তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় ৭ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। অর্থাৎ নিয়মানুযায়ী ১০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের নিচে নামলে তা শৈত্য প্রবাহ হিসেবে গণ্য করা হয়।
প্রচণ্ড শীতে কর্মজীবী মানুষদের হয়েছে সবচেয়ে অসুবিধা। অনেকে কাজ পাচ্ছেন না। দিনমজুর শ্রেণির মানুষজন যারা প্রতিদিনের আয়ে সংসার নির্বাহ করেন তারা ভীষণ কষ্টে দিনযাপন করছেন। পদ্মা নদীর তীর ঘেঁষা ঈশ্বরদী উপজেলা অঞ্চলে ভারত থেকে ধেয়ে আসা হিমেল বাতাসে তাপমাত্রা নেমে গেছে।
দিনমজুর আজিজল, লোকমান, সাঈদ, আশরাফুল সেই সকাল থেকে ডালা-কোদাল নিয়ে বসে আছেন রেলগেটে, কখন কাজের ডাক পড়বে সেই আশায়, কিন্তু সূর্যের দেখা নেই, কাজও নেই। কাজ না জুটলে বাড়ির জন্য বাজার নিয়ে যাওয়া অসম্ভব।
তাদের আশঙ্কা আজ আর কাজ জুটবে না, খালি হাতেই ফিরতে হবে।
বাংলাদেশ সময়: ১২৩৮ ঘণ্টা, ১০ জানুয়ারি, ২০১৮
আরএ