সাতক্ষীরা সদর হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে, গত দশদিনে সদর হাসপাতালে নিউমোনিয়া, শ্বাসকষ্টসহ ঠাণ্ডাজনিত রোগাক্রান্ত হয়ে ভর্তি হয়েছে ১৪১ শিশু। এছাড়া ডায়রিয়ায় আক্রান্ত হয়ে ভর্তি হয়েছে ৭৩ শিশু।
একইভাবে সাতক্ষীরা শিশু হাসপাতালে ভর্তি রয়েছে ৩৫ শিশু।
সাতক্ষীরার আশাশুনি উপজেলা সদরের ইসমাইল হোসেন বাংলানিউজকে জানান, তার ছেলের বয়স ২দিন। প্রচণ্ড শীতে সে নিউমোনিয়ায় আক্রান্ত হয়েছে। তাই আশাশুনি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স থেকে জরুরি ভিত্তিতে তাকে সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। এখানে তিনদিন ধরে তার চিকিৎসা চলছে। এখন অবস্থা মোটামুটি ভালো।
সাতক্ষীরা শহরের পলাশপোল এলাকার ইশারত আলী বাংলানিউজকে জানান, তার ছেলের বয়স দেড় বছর। রোববার (০৭ জানুয়ারি) হঠাৎ সে ডায়রিয়ায় আক্রান্ত হয়।
সদর হাসপাতালের স্টাফ নার্স রাবেয়া খাতুন বাংলানিউজকে বলেন, শৈত্যপ্রবাহের সঙ্গে শীত বেড়ে যাওয়ায় শিশুদের ঠাণ্ডাজনিত রোগ বৃদ্ধি পেয়েছে। গত দশদিনে আড়াই শতাধিক শিশু সদর হাসপাতালে শ্বাসকষ্ট, ডায়রিয়া, নিউমোনিয়াসহ বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত হয়ে ভর্তি হয়েছে।
সাতক্ষীরা শিশু হাসপাতালের মেডিকেল অফিসার ডা. আব্দুর রাজ্জাক বাংলানিউজকে বলেন, প্রচণ্ড শীত পড়ায় অভিভাবকদের অসচেতনতার কারণে শিশুরা কোল্ড ডায়রিয়া, শ্বাসকষ্ট ও নিউমোনিয়ায় বেশি আক্রান্ত হচ্ছে। গত দশদিনে এই হার বেড়েছে। সচেতন না হলে অর্থাৎ শিশুদের ঠাণ্ডা থেকে দূরে রাখতে না পারলে তা ভোগান্তির কারণ হতে পারে।
এদিকে, সাতক্ষীরা আবহাওয়া অফিসের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জুলফিকার আলী রিপন বাংলানিউজকে জানান, সাতক্ষীরায় জানুয়ারি মাসের প্রথম সপ্তাহে গড় তাপমাত্রা ছিল ১০ দশমিক ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস। যা ৮ জানুয়ারি ৭.৫ ডিগ্রি, ৯ জানুয়ারি ৫.৬ ডিগ্রি ও ১০ জানুয়ারি ৬.৫ ডিগ্রি সেলসিয়াসে দাঁড়ায়।
বাংলাদেশ সময়: ২০১০ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১০, ২০১৮
টিএ