বৃহস্পতিবার (১১ জানুয়ারি) বিকেল ৪টার দিকে রৌমারী থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) ফারুকসহ পুলিশের একটি দল দাঁতভাঙ্গা ইউনিয়নের পূর্ব কাউয়ারচর গ্রামের নিজ বাড়ী থেকে মরদেহ উদ্ধার করে থানা নিয়ে আসেন।
নিহত কদম আলী উপজেলার ওই গ্রামের ছয়ান উদ্দিনের ছেলে।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, রৌমারী উপজেলার পূর্ব কাউয়ারচর সীমান্তের ৫৭-৫৮ আন্তর্জাতিক সীমানা পিলারের মাঝমাঝি স্থান দিয়ে বৃহস্পতিবার ভোরে বাংলাদেশি ১০ থেকে ১২ জন গরু ব্যবসায়ী নোম্যান্স ল্যান্ডে ঢুকে আড়কির মাধ্যমে গরু পারাপার করছিলো। এ সময় ভারতের ৫৭ ব্যাটালিয়নের দিয়ারা ক্যাম্পের টহলরত বিএসএফ সদস্যরা তাদের লক্ষ্য করে গুলি ছুঁড়লে কদম আলীর মাথায় গুলিবিদ্ধ হয়ে গুরুতর আহত হন।
নিহতের স্ত্রী শাহিনুর বেগম বাংলান্জিউজকে বলেন, সকাল সাড়ে ৭টার দিকে গরু ব্যবসায়ী রফিয়াল ও সোনাউল্লাহ তার স্বামীকে উদ্ধার করে বাড়ী নিয়ে আসেন। পল্লি চিকিৎসক আব্দুল হাইকে দিয়ে স্থানীয়ভাবে চিকিৎসা দেওয়া হলেও দুপুর দেড়টার দিকে কদম আলীর মারা যান।
তবে এ বিষয়ে ৩৫ বিজিবি ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক মোহম্মাদ আতিকুর রহমান বাংলানিউজকে বলেন, বিষয়টি প্রাথমিকভাবে শুনেছি। গয়টাপাড়া সীমান্তে গরু পারাপারের জন্য আড়কির সেট করার সময় আড়কির বাঁশ মাথায় পড়ে এক গরুর ব্যবসায়ীর মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে।
এ বিষয়ে বিস্তারিত তথ্য জানতে চেয়ে পতাকা বৈঠকের জন্য বিএসএফকে চিঠি দেওয়া হয়েছে। শুক্রবার সকাল ১০টার দিকে পতাকা বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে বলেও জানান বিজিবি'র এই কর্মকর্তা।
বাংলাদেশ সময়: ১৮২০ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১১, ২০১৮
এফইএস/জিপি