শুক্রবার (১২ জানুয়ারি) দিনাজপুরে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
দিনাজপুর আবহাওয়া অধিদফতর ও পর্যবেক্ষণ কেন্দ্রের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. তোফাজ্জুর রহমান বাংলানিউজকে জানান, ধীরে ধীরে তাপমাত্রা আরও বাড়বে।
এদিকে ঘন কুয়াশার কারণে দিনেও হেডলাইট জ্বালিয়ে চলাচল করছে যানবাহন। সরকারি-বেসরকারি হাসপাতালগুলোতে শীতজনিত রোগে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা বৃদ্ধি পেয়েছে। তীব্র শীত ও ঘন কুয়াশায় বোরো চাষের বীজতলা ও রবি শস্য ক্ষেত ক্ষতির আশঙ্কায় রয়েছে।
দিনাজপুর জেলা সার্জন ডা. মওলা বক্স চৌধুরী বাংলানিউজকে জানান, জেলার ১৩ উপজেলাতেই শীতজনিত রোগীর সংখ্যা বেড়েছে। যেসব শিশু ও বৃদ্ধ শ্বাসকষ্টজনিত এবং ডায়রিয়া রোগে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি তাদের চিকিৎসা চলছে। জেলার প্রতিটি সরকারি হাসপাতালে পর্যাপ্ত ওষুধ মজুদ রয়েছে।
দিনাজপুর জেলা প্রশাসক মীর খায়রুল ইসলাম জানান, শীতার্ত মানুষের মধ্যে ৭৭ হাজার পিস কম্বল ও ৩ হাজার প্যাকেট শুকনো খাবার বিতরণ করা হয়েছে। আগামীতে আরও শীতবস্ত্র ও শুকনো খাবার বিতরণ করা হবে।
জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের উপ-পরিচালক মো. গোলাম মোস্তফা বাংলানিউজকে জানান, শীত ও কুয়াশায় বোরো চাষের বীজতলা ক্ষতির আশঙ্কা রয়েছে। তবে কৃষি বিভাগ সার্বক্ষণিক কৃষকের পাশে থেকে সহযোগিতা করছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৩০৩ ঘণ্টা, ১২ জানুয়ারি, ২০১৮
আরআর