ঢাকা, রবিবার, ৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ২২ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

মেয়ে নবজাতক মানছেন না বাবা!

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৩৪২ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১২, ২০১৮
মেয়ে নবজাতক মানছেন না বাবা! নবজাতককে মায়ের কোলে তুলে দিচ্ছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। ছবি: বাংলানিউজ

ময়মনসিংহ: ডিএনও পরীক্ষার মাধ্যমে মায়ের কোলে মেয়ে নবজাতককে তুলে দেওয়া হলেও মানছেন না বাবা মনোয়ার হোসেন (২১)।

হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ মেয়ে নবজাতককে তার স্ত্রীর কাছে বুঝিয়ে দিলেও ছেলের দাবিতে মামলা করার হুমকি দিয়েছেন মনোয়ার।  

শুক্রবার (১২ জানুয়ারি) বিকেলে বাংলানিউজকে তিনি এসব কথা বলেন।

 

জানা যায়, শহরতলী বাদেকল্পা এলাকার মনোয়ার হোসেনের স্ত্রী পাপিয়া আক্তার গত ১০ ডিসেম্বর ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের প্রসূতি বিভাগে ভর্তি হন। ওইদিনই বিকেলে তার কোলজুড়ে আসে একটি সন্তান।  

জন্মের পর থেকেই শিশুটি অসুস্থ থাকায় হাসপাতালের ২৫ নম্বর ওয়ার্ডের নিউ নেটাল আইসিওতে রাখা হয়। পরে ১৮ ডিসেম্বর হাসপাতাল থেকে ছুটির সময় এ দম্পতিকে মেয়ে নবজাতক দেওয়া হয়। আর এতেই ক্ষোভে ফেটে পড়েন মনোয়ার ও তার স্ত্রী।  

এ দম্পতি ছেলে নবজাতক দাবি করে গোটা হাসপাতালে তুলকালাম কাণ্ড ঘটিয়ে বসেন। তাদের দাবি, ছেলে নবজাতক জন্ম হয়েছে তাদের কিন্তু  বদলে মেয়ে নবজাতক দেওয়া হয়েছে।  

পরে গত ১৮ ডিসেম্বর দিনগত মধ্যরাতে হাসপাতালের প্রধান সহকারী খলিলুর রহমান বাদী হয়ে কোতোয়ালি মডেল থানায় অজ্ঞাত আসামি করে একটি মামলা করেন। পরে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ ডিএনএ টেস্টের মাধ্যমে প্রমাণ পায় ওই দম্পতির মেয়ে নবজাতকই হয়েছে।  

বৃহস্পতিবার (১১ জানুয়ারি) দুপুরে হাসপাতালের উপ-পরিচালক লক্ষ্মী নারায়ণ মজুমদার ওই মেয়ে নবজাতককে তার মায়ের কোলে তুলে দেন।  

তবে এ বিষয়টি কোনো অবস্থাতেই মানতে নারাজ ওই নবজাতকের বাবা মনোয়ার হোসেন। তিনি বাংলানিউজকে বলেন, আমার ছেলে সন্তানই হয়েছে। ডিএনএ টেস্টে গড়মিল করা হয়েছে। আমি আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করবো। ’ 

তবে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের উপ-পরিচালক লক্ষ্মী নারায়ণ মজুমদার বাংলানিউজকে বলেন, ‘নবজাতক পাল্টে ফেলার ঘটনাটি মোটেও সত্য নয়। ডিএনও টেস্টের মাধ্যমে প্রমাণ হয়েছে মেয়ে নবজাতকটিই ওই দম্পতিরই। এ নবজাতককে তার মায়ের কোলে তুলে দেওয়া হয়েছে। এখন ওই সন্তানের বাবা না মানলে সেটা তাদের নিজস্ব ব্যাপার। ’ 

বাংলাদেশ সময়: ১৯৩৫ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১২, ২০১৮
এমএএএম/এমএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।