এদিকে শীতের কারণে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে জনজীবন। নারী ও শিশুরা চরম দুর্ভোগের মধ্যে পড়েছেন।
কুয়াশার কারণে সড়ক ও নৌপথে যানবাহন চলাচলে বিঘ্নের সৃষ্টি হচ্ছে। কোথাও কোথাও আবার ডুবোচরে আটকে পড়ছে নৌযান। সড়ক পথে যানবাহনগুলো হেডলাইট জ্বালিয়ে সতর্কতার সঙ্গে চলাচল করছে।
এদিকে, বেলা বাড়লেও যেন সুর্যের দেখা পাওয়াই ভার। শীতের প্রকোপ বেড়ে যাওয়ায় দিনমজুরদের জীবনে নেমে এসেছে দুর্ভোগ। কাজে যেতে না পারায় অনেকেই সীমাহীন কষ্টে দিন কাটাচ্ছেন। নদী তীরবর্তী দুর্গম চরাঞ্চলে শীতের তীব্রতা অনেক বেশি। ফলে বিপন্ন মানুষগুলো শীতে নাকাল হয়ে পড়েছেন। আগুন জ্বালিয়ে শীত নিবারণের চেষ্টা করলেও যেন তাদের ভোগান্তির শেষ নেই।
অপরদিকে শীতের কারণে জেলার হাসপাতালগুলোতে ভীড় বাড়ছে শিশু রোগীদের। শীতে নিউমোনিয়া, সর্দি-কাশি জ্বরসহ শীতজনিত নানা রোগে আক্রান্ত হচ্ছে শিশুরা। এতে সন্তানদের নিয়ে দুশ্চিন্তায় পড়েছেন অভিভাবকরা।
ভোলার সিভিল সার্জন ডা. রথীন্দ্র নাথ মজুমদার বলেন, এসময়ে শিশুদের সাবধানে রাখতে যেন ঠাণ্ডা না লাগে। হাসপাতালে পর্যাপ্ত ওষুধ সরবরাহ রয়েছে বলেও জানান তিনি।
ভোলা আবহাওয়া অফিসের পর্যবেক্ষক আনোয়ার হোসেন বলেন, ঘুন কুয়াশা আরো ২/৩ দিন থাকতে পারে। শনিবার জেলার তাপমাত্রা ১০ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস। শুক্রবারের তুলনায় তাপমাত্রা ১ ডিগ্রি বাড়লেও রাতে তাপমাত্রা কমে যাচ্ছে বলে শীতের প্রকোপও বাড়ছে।
বাংলাদেশ সময়: ০৯৩৬ ঘণ্টা, ১৩ জানুয়ারি, ২০১৮
আরএ