এর আগে শুক্রবার (১২ জানুয়ারি) বড়লেখা উপজেলার কানোনগো বাজারে হাকালুকি মৎস্য পরিচালনা কমিটির উদ্যোগে ও মৌলভীবাজার জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে সদর উপজেলার শেরপুর বাজারে শুরু হয় এ মাছের মেলা।
সরেজমিনে জেলার শেরপুরে মাছের মেলায় গিয়ে দেখা যায়, দু’দিনব্যাপী দেশি মাছের মেলায় নানা জাতের বড় বড় মাছের দু’শতাধিক দোকান নিয়ে বসেছেন স্থানীয় এবং দূর দূরান্ত থেকে আগত বিক্রেতারা।
জানা যায়, প্রায় দুইশ’ বছরের ঐতিহ্যবাহী এ মেলা যুগ যুগ ধরে মৌলভীবাজারসহ আশপাশের এলাকার মানুষদের অন্যতম উৎসবে পরিণত হয়। মেলাটি বসে পৌষ সংক্রান্তির একদিন আগে। মেলায় মৌলভীবাজার জেলার হাকালুকি, কাওয়াদিঘি, হাইলহাওর, হবিগঞ্জের আজমিরিগঞ্জ ও সুনামগঞ্জের হাওর, মনু, কুশিয়ারাসহ হাওর নদী থেকে মাছ ধরে এ মেলায় নিয়ে আসা হয়। এছাড়া দেশের দক্ষিণাঞ্চল থেকেও মাছ নিয়ে আসে বিক্রেতারা।
মাছ ব্যবসায়ী রুকন মিয়া বাংলানিউজকে বলেন, এবার মেলায় বড় মাছ কম। আগের মতো স্থানীয় নদী, হাওর ও খাল-বিলে মাছ নেই। যে কয়েকটি বড় মাছ উঠেছে তা বিক্রি হয়েছে চড়া দামে।
ক্রেতা শফিকুর রহমান বলেন, এ মেলা আমাদের এলাকার ঐতিহ্য। আমরা প্রতিবছর অপেক্ষায় থাকি কখন মেলা শুরু হবে। কারণ অনেক দুর্লভ মাছ আছে যা একমাত্র এ মেলায় পাওয়া যায়।
শেরপুর মাছের মেলা পরিচালনা কমিটির সহ সভাপতি আশরাফ আলী খান বলেন, দূর দূরান্ত থেকে ব্যবসায়ীরা মাছ নিয়ে মেলায় আসেন। এবার কয়েক কোটি টাকার মাছ বিক্রি হয়েছে মেলায়।
এদিকে মেলাকে ঘিরে অন্য সামগ্রীও নিয়ে এসেছেন ব্যবসায়ীরা। এছাড়া মেলায় বিভিন্ন ধরনের খাবার হোটেল, তিলুয়া-বাতাসা, খৈ-মুড়ি, নানারকম মৌসুমী ফল, শিশুদের খেলনা, কিশোরী-তরুণীদের প্রসাধনী, শীতের কাপড়-চোপড়, বাঁশ-বেত ও কাঠের তৈরি আসবাবপত্র, ঘর-সংসারের নানারকম মাটির বাসন-কোসন, কাঠের জিনিস, লোহালক্কড়ের সামগ্রী, কৃষি যন্ত্রপাতি, হরেক রকম চোখ ধাঁধানো পণ্যের দোকান বসেছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৮৩২ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১৩, ২০১৮
আরবি/আরএ