এছাড়া কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউট ও ব্র্যাকের ফলদ বৃক্ষরাজি, দমকল বাহিনীর যন্ত্রাংশ দেখতে মেলায় শেষ দিনে ছিলো স্টলে স্টলে মেলায় আগত সব বয়সীদের ভিড়।
এবারের মেলায় সিলেটের ঐতিহ্য শীতলপাটি, বাঁশ, বেত সামগ্রী, মনিপুরী হস্তশিল্প, শীতের হরেক রকম পিঠা ইত্যাদি নিয়ে মোট ৮২টি প্রতিষ্ঠানের ১শ’ স্টল রয়েছে।
মেলা প্রঙ্গণে কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউটের ফলদ বৃক্ষ, দমকল বাহিনীর সরঞ্জাম, ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের স্বাস্থ্যসেবা, জালালালাবাদ গ্যাস ট্রান্সমিশন অ্যান্ড ডিস্ট্রিবিউশন সিস্টেমের মিনিয়েচার করে রাখা প্লান্ট ও ক্ষুদ্র কুঠির শিল্প দেখতে মেলায় আগতদের ভিড় ছিল চোখে পড়ার মতো।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, দুই শিশুকে দমকল বাহিনীর বিভিন্ন যস্ত্রাংশের সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দিচ্ছেলেন এক কর্মকর্তা। ভার্চুয়ালে জাতীয় জাদুঘরের নান্দনিক প্রদর্শনীও উপভোগে করেন নারী-শিশুসহ সব বয়সীরা। এছাড়া জাতীয় জাদুঘরের বিভিন্ন অনুষ্ঠানে আমন্ত্রণ পেতে প্রত্যেককে ফরম পূরণ করতে দেখা গেলো।
মেলায় প্রথমবারের মতো আসা নগরীর কেওয়াপাড়ার বাসিন্দা গৃহিণী নাজমা আক্তার বাংলানিউজকে বলেন, সরকারি সব সেবাদানকারী প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে সন্তানদের পরিচয় করিয়ে দিতেই উন্নয়ন মেলায় ঘুরতে আসা। সেই সঙ্গে বিনামূল্যে স্বাস্থ্য সেবাও নেওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করে এই গৃহিণী বলেন, মেলার অধিকাংশ স্টল মন কেড়েছে তার। বিশেষ করে উন্নয়ন মেলা সন্তানদের জন্য শিক্ষনীয়, তাই প্রত্যেক অভিভাবকের তাদের শিশু সন্তানদের নিয়ে উন্নয়ন মেলা ঘুরে যাওয়া প্রয়োজন বলে মনে করেন তিনি।
সিলেটের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (শিক্ষা ও আইসিটি) আবু শাফায়াৎ মুহম্মদ শাহেদুল ইসলাম বাংলানিউজকে বলেন, তিন দিনব্যাপী এ মেলায় রিয়েলিটি শো, বঙ্গবন্ধুর উন্নয়ন দর্শন ও আজকের বাংলাদেশ এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দর্শন বাংলাদেশের উন্নয়ন, রূপকল্প ২০২১ ও ২০৪১ উন্নয়নের মহাসড়কে বঙ্গবন্ধুর বাংলাদেশ, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ১০টি উদ্যোগ, রূপকল্প ২০২১ ও ২০৪১ এবং ডিজিটাল বাংলাদেশ ও উন্নয়নের অগ্রযাত্রা নিয়ে আলোচনা হয়েছে।
রাত সাড়ে ৮টার দিকে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান ও পুরস্কার বিতরণীর মাধ্যমে উন্নয়ণ মেলা সমাপ্ত হবে বলে জানান তিনি।
বাংলাদেশ সময়: ১৯৫০ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১৩, ২০১৭
এনইউ/এসআরএস