শনিবার (১৩ জানুয়ারি) রাতে তেজগাঁও থানায় সন্ত্রাস দমন আইনে মামলাটি করা হয়। রুবী ভিলায় জঙ্গিবিরোধী অভিযানে নব্য জেএমবির নিহত তিন সদস্যসহ অজ্ঞাতনামা বেশ কয়েকজনকে এই মামলায় আসামি করা হয়েছে।
র্যাব-৩ এর অধিনায়ক (সিও) লেফট্যানেন্ট কর্নেল ইমরানুল হাসান বাংলানিউজকে বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, নাখালপাড়ায় জঙ্গি আস্তানায় অভিযান শেষে আলামত সংগ্রহের পর শনিবার রাতে রাজধানীর তেজগাঁও থানায় র্যাব বাদী হয়ে সন্ত্রাস দমন আইনে মামলা করেছে।
তিনি বলেন, রুবী ভিলায় অভিযানে নিহত তিন জঙ্গির নাম-পরিচয় এখনও নিশ্চিত হওয়া যায়নি। এ বিষয়ে তদন্ত চলছে।
রুবী ভিলার মালিক সাব্বির হোসেন, ম্যানেজার শিতল ও কেয়ারটেকার রুবেলকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে বলেও জানান তিনি।
গত বৃহস্পতিবার (১১ জানুয়ারি) দিনগত মধ্যরাতের পর প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় ও এমপি হোস্টেলের ঠিক পেছনে ১৩/১ রুবী ভিলায় ‘জঙ্গি আস্তানা’র সন্ধান পেয়ে অভিযানে নামে র্যাব সদস্যরা। অভিযান চলাকালে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর উপস্থিতি টের পেয়ে র্যাব সদস্যদের উপর গ্রেনেড নিক্ষেপ ও গুলি চালায় জঙ্গিরা। পরে র্যাবের গোলাগুলিতে ষষ্ঠতলা ভবনের পঞ্চম তলার ফ্ল্যাটের একটি রুমে তিন জঙ্গি নিহত হন।
অভিযানের পর ঘটনাস্থল থেকে তিনটি সুইসাইডাল ভেস্ট, মরদেহের পাশে দু’টি পিস্তল, অবিস্ফোরিত তিনটি ইম্প্রোভাইজড এক্সপ্লোসিভ ডিভাইস (আইইডি), ১৪টি ডেটোনেটর, চারটি পাওয়ার জেল, অন্যান্য বিস্ফোরক ও কিছু বাল্ব পাওয়া যায়।
এর আগে ২০১৩ ও ২০১৬ সালে রুবী ভিলায় র্যাব অভিযান চালায়। তখন সরকারবিরোধী আন্দোলন ও নাশকতার পরিকল্পনায় জড়িত সন্দেহে বেশ কয়েকজনকে আটক করা হয়। রুবী ভিলায় এ নিয়ে তৃতীয়বার অভিযান চালানো হলো।
বাংলাদেশ সময়: ১০২৭ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১৩, ২০১৮
এসজেএ/আরআর