নকশি পিঠা, চিতই পিঠা, রস পিঠা, ডিম চিতই, দোল পিঠা, ভাপা পিঠা, পাটিসাপটা, পাকান, আন্দশা, কাটা পিঠা, ছিট পিঠা, গোকুল পিঠা, ইলিশ পিঠা, চুটকি পিঠা, মুঠি পিঠা, জামদানি পিঠা, হাড়ি পিঠা, চাপড়ি পিঠা, পাতা পিঠা, ঝুড়ি পিঠাসহ আরও কত নাম! আর সঙ্গে রয়েছে ডিজাইনের রকমফের।
স্বোপার্জিত স্বাধীনতা চত্বরের এ পিঠা উৎসবে ঢাবির শিক্ষার্থীদের পাশাপাশি ছিলো জনসাধারণের অংশগ্রহণ।
শনিবার (১৩ জানুয়ারি) রাতে উৎসব প্রাঙ্গণে কথা হয় উৎসবে আসা দর্শনার্থী ও ইডেন কলেজের শিক্ষার্থী অলকা শেখের সঙ্গে। বন্ধবীদের নিয়ে সন্ধ্যাটা আনন্দময় করে কাটাতে তিনি এসেছেন এ মেলায়।
বাংলানিউজকে অলকা বলেন, শীতের সময় পিঠা পুলির স্বাদ সবথেকে ভালো পাওয়া যায় গ্রামে। তবে শহরে এ মেলা একটু হলেও সে স্বাদ মেটাচ্ছে। বেশ ভালো লাগছে এখানে এসে। নানা রকম পিঠার স্বাদও বেশ দারুণ। অনেক নতুন পিঠার সঙ্গেও পরিচিত হতে পারছি। আর এখানকার ছোট ছোট বাচ্চাদের পিঠা খাওয়াতে পেরে আরও বেশি ভালো লাগছে।
পিঠা ব্যবসায়ী হাবিবুর রহমান বাংলানিউজকে বলেন, দর্শনার্থীদের অধিকাংশই কিনছেন বিভিন্ন ধরণের পিঠা। তবে নকশি পিঠার চাহিদা বেশি। শহরে থাকার সুবাদে গ্রামীণ এ পিঠার স্বাদ তো আর সবসময় পাওয়া যায় না!
শহুরে জীবনে অনেকে সেভাবে পিঠা তৈরি করতে পারেন না বলে উৎসবে পিঠার কদর অত্যাধিক রয়েছে বলেও উল্লেখ করেন এ ব্যাবসায়ী।
পৌষ সংক্রান্তি উপলক্ষ্যে ‘পৌষ-পার্বণ ১৪২৪’ উৎসবের আয়োজন করে 'ইয়ুথ ফর এক্সপ্লোরিং ট্যুরিজম'। শুক্রবার (১২ জানুয়ারি) বিকেলে দু'দিন ব্যাপী এ মেলার উদ্বোধন করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামান।
পৌষ মেলা ও পিঠা উৎসবের পাশাপাশি মেলা প্রাঙ্গণে আয়োজন করা হয় সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান।
বাংলাদেশ সময়: ০২৩০ ঘণ্টা; জানুয়ারি ১৪, ২০১৮
এইচএমএস/এমএসএ/জিপি