রোববার (১৪ জানুয়ারি) দুপুর ১টা ২০মিনিটে খুলনা বিভাগীয় দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালের বিচারক এম এ রব হাওলাদার এ আদেশ দেন।
দণ্ডপ্রাপ্ত আসামিরা হলেন, নড়াইল জেলা সদরের মীরাপাড়ার মৃত মজিদ মিনার দু’ছেলে ভদ্রবিলা ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান মো. সাহিদুর রহমান মিনা ওরফে শহিদ (৫২), তার ভাই মো. ইলিয়াছ মিনা (৫৬), সাহিদুর রহমান মিনার ছেলে মো. আশিকুর মিনাওরফে আশিক (২২), মোশারফ মিনার ছেলে মো. রাসেল মিনা (৩০), মৃত হাতেম মোল্লার ছেলে বাশার মোল্লা (৩০), মোশারফ মোল্লার ছেলে রবিউল মোল্লা (২৫), আটেরহাট এলাকার মৃত হারান মোল্লার ছেলে এনায়েত মোল্লা (৫৩), পইলডাঙ্গা এলাকার মতিয়ার মোল্লারছেলে ইয়াসিন মোল্লা (২৪) ও মুসা মিনার ছেলে মামুন মিনা (২৮)।
রাষ্ট্রপক্ষে মামলাটি পরিচালনা করেন পিপি অ্যাডভোকেট এনামুল হক।
উচ্চমান বেঞ্চ সহকারী ফকির মো. জাহিদুল ইসলাম নথীর বরাত দিয়ে জানান, ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে প্রভাষ রায় নৌকার পক্ষে কাজ করেন। অপরদিকে আসামি মো. সাহিদুর রহমান মিনা স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন। নির্বাচনের পর চেয়ারম্যানের সমর্থকরা প্রভাষ রায়ের বাড়ি ভাঙচুর করে। এ ঘটনায় প্রভাষ রায় চেয়ারম্যানসহ অন্যান্যদের বিরুদ্ধে মামলা করেন। এঘটনার জেরে ২০১৭ সালের ১ ফেব্রুয়ারি বিকেলে প্রভাষ রায় শহর থেকে স্বরস্বতী পূজা পরিদর্শন শেষে মীরাপাড়া বাজারের ফারুকের চায়ের দোকানের সামনে দাঁড়িয়ে ভদ্রবিলা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মো. খায়রুজ্জামান ফকিরের সঙ্গে কথা বলছিলেন। এসময় পূর্বপরিকল্পনা অনুয়ায়ী আসামিরা একত্রিত হয়ে প্রভাষ রায়ের উপর হামলা চালায়। তারা একটি বড় ছুরি প্রভাষ রায়ের পেটে ডুকিয়ে দেন এবং এলোপাতাড়ি কুপিয়ে মৃত ভেবে ফেলে রেখে চলে যায়।
পরে বাজারের লোকজন তাকে উদ্ধার করে নড়াইল হাসপাতালে ভর্তি করে। সেখান থেকে যশোর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালেনেয়ার পথে রাত সাড়ে ৯টার দিকে প্রভাষ রায় মারা যায়। এ ঘটনায় প্রভাষ রায়ের স্ত্রী-টুটুল রানী রায় বাদী হয়ে ৯ জনের নাম উল্লেখসহ আরো ৫/৭জনকে অজ্ঞাত আসামি করে হত্যা মামলা দায়ের করেন যার নং ৪। ওই বছরের ২২ ফেব্রুয়ারি মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা উপ-পদির্শক (এসআই) ভবতোষ রায় ৯ জনের বিরুদ্ধে আদালতে চার্জশিট দাখিল করেন। মামলায় ১৭ জন সাক্ষীর মধ্যে ১৬ জন সাক্ষ্য দেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৩৩৩ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১৪, ২০১৮
এমআরএম/এসএইচ