রোববার (১৪ জানুয়ারি) ছিলো তাদের এ আন্দোলনের ১৪তম দিন। একইসঙ্গে আমরণ অনশন চলছে ষষ্ঠ দিনের মতো।
রোববার দুপুরে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে গিয়ে দেখা যায় শত শত শিক্ষক রাস্তায় শুয়ে আছেন। অনেককে স্যালাইন লাগানো হয়েছে। এ সময় চাঁদপুরের ফরিদগঞ্জ উপজেলার পূর্ব রুস্তুমপুর রফিকুল ইসলাম স্বতন্ত্র ইবতেদায়ি মাদ্রাসার প্রতিষ্ঠাতা শিক্ষক মুক্তিযোদ্ধা রফিকুল ইসলাম অসুস্থ হয়ে পড়েন। তাকে তিনজন শিক্ষক ধরে বসে আছেন। তিনি কথা বলতে পারছিলেন না।
আন্দোলনে কত জন শিক্ষক উপস্থিত আছেন জানতে চাইলে দফতর সম্পাদক ইনতাজ বিন হাকিম বলেন, এখানে পাঁচ হাজারের মতো শিক্ষক আছেন। এছাড়া প্রতিদিনই নতুন নতুন শিক্ষক এসে আন্দোলনে যোগ দিচ্ছেন।
সংগঠনের মহাসচিব কাজী মোখলেছুর রহমান বলেন, গত ১০ নভেম্বর প্রেসক্লাবের সামনে মানববন্ধন করে প্রধানমন্ত্রী বরাবর স্মারকলিপি দেওয়া হয়েছে। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী ৩০ ডিসেম্বর পর্যন্ত জাতীয়করণের সিদ্ধান্ত না দেওয়ায় ১ জানুয়ারি থেকে ৮ জানুয়ারি পর্যন্ত অবস্থান ধর্মঘট পালন করা হয়।
দাবি না মানার কারণে ৯ জানুয়ারি হতে আমরণ অনশন পালন করা হচ্ছে। প্রধানমন্ত্রী জাতীয়করণের ঘোষণা না দেওয়া পর্যন্ত আমরণ অনশন কর্মসূচি চলবে।
বাংলাদেশ সময়: ১৪০৪ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১৪, ২০১৮
এমএইচ/এএটি