রোববার (১৪ জানুয়ারি) দুপুর ১২টায় অনুষ্ঠিত এ মহড়ায় পদাতিক, সাঁজোয়া এবং গোলন্দাজ বাহিনী ছাড়াও সেনাবাহিনীর অন্যান্য সব আর্মস/সার্ভিসেস অংশ নিয়েছেন। মহড়ায় বাংলাদেশ সেনাবাহিনীতে নতুন সংযোজিত বিভিন্ন অত্যাধুনিক অস্ত্র ও সরঞ্জামাদি ব্যবহার করা হয়।
স্থানীয় সংসদ সদস্য মামুনুর রশীদ কিরণ, ১৭ পদাতিক ডিভিশনের জিওসি মেজর জেনারেল শামিম উজ জামান, ৩৩ পদাতিক ডিভিশনের জিওসি মেজর জেনারেল মো.রাশেদ আমীনসহ সামরিক বাহিনী ও বেসামরিক প্রশাসনের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত থেকে মহড়া উপভোগ করেন।
স্বর্ণদ্বীপে সেনাবাহিনীর তত্ত্বাবধানে গড়ে উঠেছে মাল্টিপারপাস সাইক্লোন শেল্টার, পরিকল্পিত বনায়ন, বিভিন্ন বনজ ও ফলজ বৃক্ষের বাগান, গবাদি পশুর খামার ও অন্যান্য জনবান্ধবমূলক প্রতিষ্ঠান। ২০১৩ সাল থেকে স্বর্ণদ্বীপে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী উপকূলীয় অঞ্চলের নিরাপত্তার অবস্থার উন্নতি, সামাজিক বনায়ন কর্মসূচি এবং বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ সামরিক প্রশিক্ষণ পরিচালনার দায়িত্ব সফলতার সঙ্গে পালন করে আসছে।
মূলত স্বর্ণদ্বীপকে সেনাবাহিনীর জন্য একটি প্রশিক্ষণ এলাকা হিসেবে গণ্য করা হয়। এখানে প্রতি বছর নভেম্বর থেকে পরবর্তী বছরের মার্চ পর্যন্ত ক্রমান্বয়ে ৬টি পদাতিক ব্রিগেড দুই সপ্তাহ করে বিভিন্ন ধরনের অভিযানিক কার্যক্রম অনুশীলন করে থাকে। এ যাবৎ স্বর্ণদ্বীপে প্রায় ২৫ হাজার সেনা সদস্য এ প্রশিক্ষণ সুবিধা নিয়েছে। এখানে সেনাবাহিনীর ট্যাংক, এপিসিসহ নতুন প্রযুক্তির বিভিন্ন সরঞ্জামাদির বিশেষায়িত অনুশীলন পরিচালনা করা হয়ে থাকে, যা একটি আধুনিক ও যুগোপযোগী সেনাবাহিনী গড়ে তোলার জন্য অপরিহার্য।
মূল ভূ-খণ্ড হতে বিচ্ছিন্ন এ দ্বীপে নদী পারাপারের জন্য সেনাবাহিনী নিজস্ব অর্থায়নে তিনটি ট্রলার তৈরি করা হয়েছে। ভারি যানবাহন পারপারের জন্য এলসিটি ও এলসিই্উ ব্যবহার করা হয়। যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নতি কল্পে ঘাট থেকে ময়নামতি ক্যাম্প পর্যন্ত ৬ কিলোমিটার রাস্তা ও ৪টি স্থায়ী হেলিপ্যাড নির্মাণ করা হয়েছে। রেডিও লিংকের মাধ্যমে এ দ্বীপে টেলিফোন এবং ইন্টারনেট সুবিধা দেওয়া হয়েছে। এছাড়াও মোবাইল যোগাযোগের জন্য একটি টাওয়ার স্থাপন করা হয়েছে। স্বর্ণদ্বীপে বিদ্যুৎ সুবিধা দেওয়ার জন্য জেনারেটরের পাশাপাশি সৌরবিদ্যুৎ প্রকল্প বাস্তবায়ন করা হচ্ছে।
আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদফতর (আইএসপিআর) থেকে পাঠানো এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৪৫৫ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১৪, ২০১৮
ওএইচ/