রোববার (১৪ জানুয়ারি) দুপুরে হাসপাতাল থেকে তার মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠায় পুলিশ।
এর আগে শনিবার (১৩ জানুয়ারি) দিবাগত রাত ১টার দিকে সিদ্দিক তার স্ত্রীকে মেরে মুখে বিষ ঢেলে দেয় বলে অভিযোগ করে খাদিজার বাবার বাড়ির লোকেরা।
কচুয়া উপজেলার আড়িয়া মর্দন গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। খাদিজা কচুয়া উপজেলার ধোপাখালি ইউনিয়নের শিরোখালী গ্রামের আব্দুলমালেকের মেয়ে।
নিহত খাদিজার ছোট ভাই আবু বক্কর বলেন, নয় বছর আগে আড়িয়া মর্দন গ্রামের খলিল পাইকের ছেলে সিদ্দিকের সঙ্গে আমার বোনের বিয়ে হয়। বিয়ের পর থেকে বিভিন্ন সময় যৌতুকের দাবিতে সিদ্দিক আমার বোনের ওপর শারীরিক ও মানসিকভাবে অত্যাচার করত। কিন্তু বোনের ঘরে দু’টি সন্তান থাকায় আমরা
বিষয়টি নিয়ে কোনো কথা বলিনি।
শনিবার রাতে সিদ্দিক খাদিজাকে বেদম মারধর করে মুখে বিষ ঢেলে দেয়। পরে সিদ্দিকের পরিবারের লোকেরা খাদিজাকে বাগেরহাট সদর হাসপাতালে নিয়ে আসে। তখন সেখানে দায়িত্বরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। এসময় সিদ্দিকের পরিবারের লোকেরা হাসপাতালে খাদিজাকে রেখে পালিয়ে যায়।
সিদ্দিকের প্রতিবেশী সেকেন্দার মোল্লা বলেন, সিদ্দিক দীর্ঘদিন ধরে মাদকাসক্ত। সে প্রায়ই তার স্ত্রী খাদিজাকে মারধর করত। বিষয়টি নিয়ে একাধিকবার সালিশ বৈঠক হলেও সিদ্দিক তার বউকে মারধর বন্ধ করেনি। অবশেষে খাদিজাকে মেরেই ফেলল।
বাগেরহাট সদর হাসপাতালের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক মো. মুশফিকার শামস বলেন, শনিবার রাত ১টার দিকে খাদিজা বেগম নামে এক গৃহবধূকে মৃত অবস্থায় হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়। পরে জরুরি বিভাগে রোগীকে ফেলে রেখে স্বজনরা চলে যায়।
বাগেরহাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মাহাতাব উদ্দিন বলেন, খবর পেয়ে পুলিশ সদর হাসপাতাল থেকে মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠায়। ময়নাতদন্তের প্রতিবেদন পেলেই মৃত্যুও সঠিক কারণ জানা যাবে। এ ব্যাপারে থানায় একটি অপমৃত্যু মামলা করা হয়েছে বলেও জানান তিনি।
বাংলাদেশ সময়: ১৭১০ ঘণ্টা, ১৪ জানুয়ারি, ২০১৮
আরএ