ঐতিহ্যবাহী এই মেলায় দেশের বিভিন্ন এলাকা থেকে হাজার হাজার ক্রেতা-বিক্রেতা ভিড় করেছেন এই মেলায়। প্রতি বছরই পৌষ সংক্রান্তি উপলক্ষে বসে এই মেলা।
এবারের মেলার মূল আকর্ষণ ৩৫ কেজির একটি বোয়াল। সবচেয়ে বড় এই মাছটি মেলায় এনেছেন হবিগঞ্জ পৌরসভার উমেদনগর এলাকার মিন্নত আলী।
মিন্নত আলী বাংলানিউজকে জানান, তিনি কিশোরগঞ্জ জেলার কুলিয়ারচর থেকে মাছটি কিনে এনেছেন বিক্রি করার জন্য। ক্রেতাদের কাছে মাছের দাম হাঁকছেন ৬০ হাজার টাকা। তবে মাছটি কিনতে অনেকে ভীড় করলেও ৩০ হাজারের বেশি কেউ দিতে চাচ্ছেন না। যদিও নিজের চাহিদামতো দামেই বিক্রি করতে পারবেন বলে আশাবাদী মিন্নত আলী।
রোববার (১৪ জানুয়ারি) সকাল থেকেই শুরু হয় মাছের মেলা। মেলা জমে ওঠে বিকেলে। তবে আয়োজকরা জানান, মাছ বেশি বিক্রি হয় রাতে।
বিকেলে কথা হয় মেলায় আসা পইল গ্রামের শিবেন্দ্র চন্দ্র দাশ শিবুর সঙ্গে। তিনি বাংলানিউজকে বলেন, প্রতি বছরের মতো এবারো এই মেলার আয়োজন করা হয়েছে। এবার হাজার খানেক মাছ বিক্রেতা দোকান বসিয়েছেন। তবে অন্যান্য বছরের তুলনায় এই বছর ক্রেতার উপস্থিতি একটু কম।
৩৫ কেজি ওজনের বোয়াল মাছ ছাড়াও বড় বড় বাঘাইড়, ঘাগট, রুই, কাতলা, ছিতল, গুছিসহ ছোট বড় বিভিন্ন প্রজাতির দেশি মাছ নিয়ে এসেছেন বিক্রেতারা। মেলায় মাছ ছাড়াও শিশুদের বিভিন্ন ধরনের খেলনা ও হরেক রকমের খাবারের পসরা সাজিয়ে বসেছেন ব্যবসায়ীরা।
হবিগঞ্জ সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) এটিএম আজহারুল ইসলাম বাংলানিউজকে জানান, মেলায় যাতে কোনো বিশৃঙ্খলা না হয় সেজন্য প্রশাসন সতর্ক রয়েছে। তিনিসহ অন্যান্য সরকারি কর্মকর্তারা মেলা পরিদর্শন করেছেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৭৩৮ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১৪, ২০১৮
এসআই