রোববার (১৪ জানুয়ারি) সন্ধ্যা ৭টার দিকে মানিকগঞ্জ জেলার আরিচা ঘাট থেকে কাজিরহাটের উদ্দেশে রওনা দেয় লঞ্চটি। কিছুক্ষণ যাত্রার পর লঞ্চটি একটি ডুবোচরে আটকা পড়ে।
আমিনপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সুকুমার মোহন্ত বাংলানিউজকে বলেন, রাত ৮টার দিকে আমরা খবর পাই যমুনা নদীতে দেড় শতাধিক যাত্রী নিয়ে একটি লঞ্চ ডুবোচরে আটকা পড়েছে। আমাদের তো এই থানায় নৌ পুলিশ নেই। এখানে আমাদের করণীয় কিছু নেই। তবে বিষয়টি নিয়ে বিভিন্ন স্থানে অবহিত করা হয়েছে। মূলত লঞ্চটি পাবনার একটি পরিবহনের নির্দিষ্ট যাত্রী পারাপার করে।
এদিকে নগরবাড়ি ঘাট থেকে নৌ পুলিশের একটি দল ট্রলার নিয়ে নদীতে যাওয়ার কথা শুনেছি, তবে তাদের সঙ্গে কোনো যোগাযোগ করতে পারছেন না বলেও জানান ওসি।
পাবনা এক্সপ্রেস পরিবহনের কাজিরহাট কাউন্টারের টিকিট মাস্টার সাখাওয়াত হোসেন বলেন, সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার পর থেকে আমাদের যাত্রী বোঝাই লঞ্চটির কোনো খোঁজ পাওয়া যাচ্ছে না। খবর পাওয়ার পরপরই পাবনার বেড়া উপজেলার কাজিরহাট ঘাট থেকে ইতোমধ্যে ৬/৭টি ট্রলার খুঁজতে বের হয়েছে। এখন পর্যন্ত তাদেরও কোনো খোঁজ পাওয়া যাচ্ছে না। তবে গুগল ম্যাপে এখনো লঞ্চটি মানিকগঞ্জ জেলার শিবালয় এলাকায় দেখাচ্ছে বলেও জানান ওই টিকিট মাস্টার।
পাবনা এক্সপ্রেস পরিবহনের ব্যবস্থাপনা পরিচালক আবুল আহসান রেওন বলেন, ঘন কুয়াশায় আমাদের পরিবহনের একটি লঞ্চ দেড় শতাধিক যাত্রীসহ যমুনা নদীর মধ্যে ডুবোচরে আটকা পড়েছে। ইতোমধ্যে আমরা নিজেরাই দু’পাড় থেকেই প্রায় ১০টি ট্রলার দিয়ে লঞ্চটি খুঁজে বের করার চেষ্টা করছি। বিষয়টি বিআইডব্লিউটিসিকেও অবহিত করা হয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ০০১৫ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১৫, ২০১৮
আরবি/