বাংলাদেশের পক্ষে পররাষ্ট্র সচিব এম শহীদুল হক ও মিয়ানমারের পক্ষে নেতৃত্ব দেবেন দেশটির পার্মানেন্ট সেক্রেটারি মিন্ট থো।
১৫ সদস্যের মধ্যে পররাষ্ট্র সচিবসহ বাংলাদেশ দলের ১৪ জন রোববার (১৪ জানুয়ারি) মিয়ানমার গেছেন।
আরো ১৩ কর্মকর্তা হলেন, চট্টগ্রামের বিভাগীয় কমিশনার মো. আব্দুল মান্নান, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগের অতিরিক্ত সচিব মো. অবু বক্কর সিদ্দিকী, কক্সবাজার জেলার শরণার্থী, ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কমিশনার মোহাম্মাদ আবুল কালাম, সশস্ত্র বাহিনী বিভাগ থেকে বিগ্রেডিয়ার জেনারেল মনিরুল ইসলাম আকন্দ, সামরিক গোয়েন্দা পরিদপ্তর থেকে বিগ্রেডিয়ার জেনারেল মোহাম্মদ তৌহিদুল ইসলাম, জাতীয় নিরাপত্তা গোয়েন্দা অধিদপ্তর থেকে কমোডর মোহাম্মদ মনিরুল ইসলাম, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের মহাপরিচালক মো. খলিলুর রহমান, দুর্যোগ ব্যাবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম সচিব মোহাম্মদ হাবিবুর কবির চৌধুরী, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সুরক্ষা সেবা বিভাগের যুগ্ম সচিব মো. মুনিম হাসান, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া উইং-এর মহাপরিচালক মনজুরুল করিম খান চৌধুরী, বহিরাগমন ও পাসপোর্ট অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক সেলিনা বানু, পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের পরিসংখ্যান ও তথ্য ব্যবস্থপনা বিভাগের উপসচিব মো. ওসমান ভূঁইয়া, বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ সদর দপ্তরের পরিচালক (পরিকল্পনা) লেফটেন্যান্ট কর্নেল মোহাম্মদ একলিম আবদীন।
২০১৭ সালের ২৫ আগস্ট মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে হামলা শুরুর পর ইতিহাসের ভয়াবহতম এ জাতিগত নিধন শুরু করলে বাংলাদেশে পালিয়ে এসেছেন প্রায় ৭ লাখ রোহিঙ্গা। সব মিলিয়ে এখন রয়েছে ১০ লাখ। নানা কূটনৈতিক চাপের পর ২৩ নভেম্বর মিয়ানমারের রাজধানী নি পি দোতে দু’দেশের মন্ত্রী পর্যায়ের বৈঠকে সমঝোতা সই হয়, রোহিঙ্গাদের ফিরিয়ে নিতে সম্মত হয় মিয়ানমার। সমঝোতা অনুযায়ী ২ মাসের মধ্যে শুরু করার কথা রোহিঙ্গাদের ফিরিয়ে নেওয়ার প্রথম ধাপ।
বাংলাদেশ সময়: ০৭২০ ঘণ্টা, ১৫ জানুয়ারি ২০১৮
কেজেড/বিএসকে