অভিযোগ অনুযায়ী, ঘটনাটি ঘটেছে রোববার (১৪ জানুয়ারি) দুপুরে বরগুনার পাথরঘাটা উপজেলার চরদুয়ানী ইউনিয়নের জ্ঞানপাড়ায় মনি আক্তার নামে এসএসসি পরীক্ষার্থীর বিয়েতে। মনি এবার জ্ঞানপাড়া-খলিফারহাট মাধ্যমিক বিদ্যালয় থেকে এসএসসি পরীক্ষা দেবে।
প্রচলিত আইনে অপ্রাপ্ত বয়স্ক মেয়েটির বিয়ে ঠেকানোর দায়িত্ব থাকলেও তা না করে নিজেরাই বিয়ের ভোজে অংশ নিয়েছেন।
রোববার দুপুরে চরদুয়ানী ইউনিয়নের ছয় নম্বর ওয়ার্ডের জ্ঞানপাড়ায় রুহুল আমীন তার স্কুল পড়ুয়া মেয়ের বিয়ের ভোজের আয়োজন করেন। রুহুল আমীন স্থানীয় খলিফারহাট বাজারের কীটনাশক ব্যবসায়ী।
মেয়েটির বিয়ের অনুষ্ঠানে সাত নম্বর ওয়ার্ডের বর্তমান ইউপি সদস্য মো. কবীর হোসেন মোল্লা, ছয় নম্বর ওয়ার্ডের বর্তমান ইউপি সদস্য মো. মজিবর রহমান এবং সাবেক ইউপি সদস্য মো. রুস্তুম আলী, আবদুস ছাত্তার মুন্সী ও আবদুল লতিফ অংশ নেন।
সোমবার (১৫ জানুয়ারি) দুপুরে একই এলাকায় বর রাসেলের বাড়িতে বৌভাতের আয়োজন হওয়ার কথা রয়েছে।
এ সম্পর্কে ওই বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আবদুল খালেক নাজির বলেন, আমি ঘটনার সময় বরগুনা শহরে ছিলাম। বিষয়টি আমার জানা নেই।
ওই বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক শফিকুল ইসলাম বলেন, মনি ২০১৮ সালের এসএসসি পরীক্ষার্থী। সে বেশ ভালো ছাত্রী। গোপনে তার বিয়ে দেওয়া হয়েছে বলে পরে শুনেছি।
ইউপি সদস্য মজিবর রহমান বলেন, বিয়ের অনুষ্ঠানে দাওয়াত খেয়েছি এ কথা সত্য। তবে পাত্রী যে স্কুল পড়ুয়া তা আমাদের জানা ছিল না। কয়েক মাস আগে গোপনে তাকে বিয়ে দেওয়া হয়। রোববার ছিল আনুষ্ঠানিকতা। পরে আমরা বিষয়টি জেনেছি। আমরা সব সময়ই বাল্যবিয়ের প্রতিবাদ করে আসছি।
প্রতিবেশীরা জানান, ছয়-সাত মাস আগেই মেয়েটিকে বিয়ে দিয়েছেন রুহুল আমীন। রোববার অনুষ্ঠান করা হয়েছে।
অতিরিক্ত দায়িত্বে থাকা পাথরঘাটা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (বামনা ইউএনও) মো. জাকির হোসেন বাচ্চু সোমবার সকালে বলেন, বাল্যবিয়েতে যারা অতিথি হিসেবে অংশগ্রহণ করেছেন তারাও আইনের আওতায় আসবে। এ ব্যাপারে খোঁজ খবর নিয়ে দেখছি।
বাংলাদেশ সময়: ১৪৪২ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১৫, ২০১৮
এসআই