সোমবার (১৫ জানুয়ারি) সকাল ১০টার দিকে তাকে দীন ইসলামের বাড়ি থেকে গ্রেফতার করা হয়। সাবিনার বাবার বাড়ি ব্রাক্ষণবাড়িয়ার নাসিরনগর উপজেলার গুনিয়াউক গ্রামে।
দীন ইসলামের চাচা ও মামলার বাদী শাহ আলম বাংলানিউজকে বলেন, ১০ বছর আগে দীন ইসলামের সঙ্গে সাবিনার বিয়ে হয়। প্রায় এক বছর ধরে তাদের মধ্যে ঝগড়া চলছিল। সম্প্রতি ১০দিনের ছুটি নিয়ে দীন ইসলাম সৌদি থেকে বাংলাদেশে আসেন। ১০ জানুয়ারি (বুধবার) তার স্ত্রী সাবিনাকে আনার জন্য শ্বশুর বাড়ি গুনিয়াউক গ্রামে যান দীন ইসলাম। এর একদিন পর বৃহস্পতিবার রাত ২টার দিকে সাবিনা ও তার বাড়ির লোকজন দীন ইসলামের মাথায় গুরুতর জখম করেন। পরে তাকে প্রথমে হবিগঞ্জ সদর হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখানে তার অবস্থার অবনতি হলে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে পাঠানো হয় এবং ভোর ৪টার দিকে তার মৃত্যু হয়।
তিনি আরো বলেন, দীন ইসলামের শ্বশুর বাড়ির লোকজন আমাদের খবর দিলে আমরা হাসপাতাল গিয়ে শুধু তার মরদেহ পাই। সাবিনাসহ তার বাড়ির লোকজন কাউকে পাওয়া যায়নি। পরে এ ঘটনায় নাসিরনগর থানায় সাবিনাকে প্রধান আসামি করে একটি হত্যা মামলা দায়ের করি। বাকি আসামিরা হলেন- সাবিনার ভাই মুন্সী হৃদয় মিয়া, মুন্সী সেলিম মিয়া ও চাচাতো ভাই ইমন মিয়া।
নাসিরনগর থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) সাদন চৌধুরী বাংলানিউজকে বলেন, এ ঘটনায় প্রধান আসামি সাবিনাকে মুন্সীগঞ্জ সদর থানা পুলিশ গ্রেফতার করে হেফাজতে রেখেছে। তাকে নাসিরনগর থানায় আনার প্রস্তুতি চলছে।
মুন্সীগঞ্জ সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি-তদন্ত) মঞ্জুর হোসেন বাংলানিউজকে বলেন, সোমবার সকালে দীন ইসলামের বাড়ি থেকে সাবিনাকে গ্রেফতার করা হয়।
বাংলাদেশ সময়: ১৫২২ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১৫, ২০১৮
টিএ