সোমবার শুরু হওয়া বৈঠকের দ্বিতীয় দিন মঙ্গলবার (১৬ জানুয়ারি) সকালে মিয়ানমারের রাজধানী নেপিদোতে দুই দেশের যৌথ ওয়ার্কিং গ্রুপের (জেডব্লিউজি) সভায় চুক্তিটি চূড়ান্ত হয়। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য নিশ্চিত করে।
এ চুক্তি চূড়ান্ত হওয়ার ফলে রোহিঙ্গাদের প্রত্যাবাসন শুরুর জন্য সরকারি পর্যায়ের কাজ সম্পন্ন হলো।
যৌথ ওয়ার্কিং গ্রুপের সভায় বাংলাদেশের পক্ষে পররাষ্ট্র সচিব এম শহীদুল হক ও মিয়ানমারের পক্ষে নেতৃত্ব দেন দেশটির পার্মানেন্ট সেক্রেটারি মিন্ট থো।
২০১৭ সালের ২৫ আগস্ট মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে হামলা শুরুর পর ইতিহাসের ভয়াবহতম এ জাতিগত নিধন শুরু করলে বাংলাদেশে পালিয়ে আসেন প্রায় ৭ লাখ রোহিঙ্গা। তাদের কক্সবাজারের উখিয়ায় আশ্রয় দেওয়া হলেও শুরু থেকেই বাংলাদেশের দাবি ছিল, নিরাপদে ফিরিয়ে নিতে হবে মিয়ানমারের নাগরিকদের।
নানা কূটনৈতিক চাপের পর ২৩ নভেম্বর মিয়ানমারের রাজধানী নেপিদোতে দুই দেশের মন্ত্রী পর্যায়ের বৈঠকে সমঝোতা সই হয়, রোহিঙ্গাদের ফিরিয়ে নিতে সম্মত হয় মিয়ানমার। সমঝোতা অনুযায়ী ২ মাসের মধ্যে শুরু করার কথা রোহিঙ্গাদের ফিরিয়ে নেওয়ার প্রথম ধাপ।
চুক্তি অনুযায়ী, ২০১৬ সালের পরে যেসব রোহিঙ্গা এসেছে, শুধু তাদের ফেরত পাঠানোর জন্য বিবেচনা করা হবে। এ প্রত্যাবাসন হবে ধাপে ধাপে। এরপর ১৯ ডিসেম্বর ঢাকায় দুই দেশের মধ্যে গঠন করা হয় জয়েন্ট ওয়ার্কিং গ্রুপ।
এর ধারাবাহিকতায় উভয় দেশের পররাষ্ট্রসচিবের নেতৃত্বে ৩০ সদস্যের ওয়ার্কিং গ্রুপ প্রথম বৈঠকে রোহিঙ্গাদের ফিরিয়ে নেওয়ার জন্য ফিজিক্যাল অ্যারেঞ্জমেন্ট চুক্তি চূড়ান্ত করলো। সভায় জাতিসংঘের মানবাধিকার সংস্থা যুক্ত ছিলো।
বাংলাদেশ সময়: ১২৩০ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১৬, ২০১৮
কেজেড/এমজেএফ