মঙ্গলবার (১৬ জানুয়ারি) সকালে মরদেহগুলো ময়নাতদন্তের জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতাল মর্গে পাঠিয়েছে পুলিশ।
মৃত নারীরা হলেন- উত্তরার পূর্ব থানা এলাকার বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রী আফরিদা তানজিল মাহি (২১), রমনা থানাধীন মগবাজারের তামান্না আক্তার বিথী (১৮), খিলক্ষেত এলাকার মাহেনুর আক্তার মৌ (১৮) ও বাড্ডার হনুফা বেগম (৫৫)
উত্তরার পূর্ব থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) মো. জানে আলম দুলাল বাংলানিউজকে জানান, সোমবার (১৫ জানুয়ারি) দিনগত রাতে ইউনাইটেড হাসপাতাল থেকে আফরিদা তানজিল মাহির মরদেহ উদ্ধার করা হয়।
নিহত আফরিদার পরিবার বরাত দিয়ে এসআই জানান, রাতে ফ্যানের সঙ্গে ওড়না পেঁচিয়ে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করেন মাহি। পরে স্বজনরা তাকে মুমূর্ষু অবস্থায় উদ্ধার করে ইউনাইটেড হাসপাতালে নিলে চিকিৎসকরা মৃত ঘোষণা করেন।
রমনা থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) আব্দুল কুদ্দুস বাংলানিউজকে জানান, সোমবার (১৫ জানুয়ারি) দিনগত রাত একটার দিকে রমনা থানাধীন মগবাজার দিলু রোডের একটি ছয়তলা বাসা থেকে তামান্নার মরদেহ উদ্ধার করা হয়। তামান্না মাদারীপুর শিবচর উপজেলার বাঁশকান্দি গ্রামের শাহজাহান মিয়ার মেয়ে।
মৃত বিথীর মামা আরিফুল ইসলাম জানান, দু'বছর আগে তামান্নার বিয়ে হলেও বনিবনা না হওয়ায় তাদের বিচ্ছেদ হয়ে যায়। এরপর থেকে পরিবারের সঙ্গে মগবাজার দিলু রোডের বাসায় থাকতেন তামান্না। পরে তাকে প্রভাতী উচ্চ বিদ্যা নিকেতনে ভর্তি হয়। এবারে এসএসসি পরীক্ষার্থী ছিলো সে। রাতে ফ্যানের সঙ্গে ঝুলন্ত অবস্থায় পাওয়া যায় তামান্নাকে।
খিলক্ষেতের নামাপাড়া চানাচুর ফ্যাক্টরি এলাকার একটি টিনসেড বাসা থেকে মঙ্গলবার (১৬ জানুয়ারি) সকাল সাড়ে ৭টার দিকে মৌ'র মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ।
খিলক্ষেত থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) মো. শফিকুল ইসলাম জানান, বরিশাল বানারীপাড়ার আহমদাবাদ গ্রামের মিন্টু আহমেদের মেয়ে সে। স্বামী রাজমিস্ত্রি রাকিব হোসেনের সঙ্গে নামাপাড়ার ওই বাসায় থাকতেন মৌ।
মৃত নারীর মামা মিরাজ হোসেন জানান, বিয়ের পর থেকে তারা নামাপাড়ায় থাকতো। গত রাতে স্বামী-স্ত্রী এক সঙ্গে রুমে শুয়ে ছিলো। ভোরের দিকে স্বামী রাকিব ঘুম থেকে উঠে দেখতে পায় তার স্ত্রীর মৌ' ফ্যানের সঙ্গে গলায় ওড়না পেঁচিয়ে ঝুলে আছে।
এদিকে রাজধানীর উত্তর বাড্ডায় সবজির গলি এলাকায় একটি বাড়ি থেকে হনুফা বেগম (৫৫) নামে এক নারীর মৃতদেহ উদ্ধার করেছে বাড্ডা থানা পুলিশ।
বাড্ডা থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) আবদুল করিম বাংলানিউজকে জানান, ইয়াসিন নামে এক ব্যক্তির বাসায় দীর্ঘদিন ধরে হনুফা গৃহকর্মীর কাজ করতেন। মঙ্গলবার দুপুরে হনুফার গলায় ফাঁস লাগানো মরদেহ উদ্ধার করা হয়।
তিনি জানান, বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে। হনুফার মরদেহ ময়না তদন্তের জন্য মর্গে পাঠানো প্রক্রিয়াধীন। তদন্তের জন্য বাড্ডার মরদেহ ছাড়া, বাকি মরদেহগুলো মঙ্গলবার সকালে ঢামেক হাসপাতাল মর্গে পাঠিয়েছে পুলিশ।
বাংলাদেশ সময়: ১৪৩৪ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১৬, ২০১৮
এজেডএস/এএটি