মঙ্গলবার (১৬ জানুয়ারি) এক প্রেসবিজ্ঞপ্তিতে বিশ্বব্যাপী শিশুদের সুরক্ষা নিয়ে কাজ করা আন্তর্জাতিক সংস্থা ইউনিসেফ এ আশঙ্কার কথা জানিয়েছে।
বাংলাদেশে নিযুক্ত ইউনিসেফের প্রতিনিধি অ্যাডওয়ার্ড বেগবেদার বলেন, ঘূর্ণিঝড় ও বর্ষার মৌসুম যতই এগিয়ে আসছে শিবিরগুলোতে ততই ভয়াবহ মানবাধিকার পরিস্থিতি বিপর্যয়ের ঝুঁকি বাড়ছে।
‘হাজার হাজার শিশু ইতোমধ্যে ভয়াবহ অবস্থায় বাস করছে। আসন্ন দুর্যোগে বিশেষ করে বন্যা, ভূমিধসে এবং স্থানচ্যুতির মতো আরও বেশি বিপর্যয়ের মুখোমুখি হবে শিশুরা। ’
তিনি বলেন, অনিরাপদ পানি, অপর্যাপ্ত পায়খানা, নিম্নমানের স্বাস্থ্যগত অবস্থানের কারণে শিশুদের কলেরা ও হেপাটাইটিস-ই হওয়ার ঝুঁকি বাড়িয়ে দিচ্ছে। মরণঘাতী এ রোগে গর্ভবর্তী মায়েরা আক্রান্ত হয়ে তাদের সন্তানদের মধ্যেও ছড়িয়ে যেতে পারে। আশঙ্কা রয়েছে মশাবাহিত নানা রোগেরও। এসব রোগ থেকে শিশুদের বাঁচানো অগ্রাধিকার বিষয় হতে হবে।
ইউনিসেফ বলছে, রোহিঙ্গা ক্যাম্পে ৪ হাজারের বেশি মানুষ ডিপথেরিয়ায় আক্রান্ত হয়েছে, যাদের মধ্যে মারা গেছে ৩২জন; এরমধ্যে ২৪ জনই শিশু।
ইউনিসেফ ও সহযোগী সংস্থাগুলো রোহিঙ্গা ক্যাম্পে ডিপথেরিয়ার ভ্যাকসিন দিচ্ছে। এছাড়া শিশু ও তাদের পরিবারের সদস্যদের নিরাপদ পানি সরবরাহ করা হচ্ছে। তবে অতিরিক্ত মানুষের বসবাসের কারণে পরিবেশ-প্রতিবেশ বসবাসের অনুপযোগীর দিকেই যাচ্ছে।
পাহাড়-বন ধ্বংসের কারণে কক্সবাজারের উখিয়া ও টেকনাফের শিবিরগুলোতে যেমন রোগের ঝুঁকি রয়েছে, তেমনি আসছে মার্চে দুযোর্গ মৌসুমে বন্যা ও পাহাড় ধসেরও আশঙ্কা রয়েছে।
গত বছরের ২৫ আগস্ট থেকে রাখাইনে রোহিঙ্গাদের ওপর দমন-পীড়ন চালায় মিয়ানমার সেনাবাহিনী। তাদের সঙ্গে যোগ দেয় স্থানীয় মগরা।
এ সময় মুসলিম অধ্যুষিত রোহিঙ্গাদের বাড়ি-ঘরে আগুন দেওয়াসহ সম্পদ লুণ্ঠন, হত্যা, ধর্ষণসহ নানা নির্যাতনের কথা জানিয়েছেন বাংলাদেশে আসা রোহিঙ্গারা।
২৫ আগস্টের পর নতুন করে আসা রোহিঙ্গার সংখ্যা সাড়ে ৬ লাখ ছাড়িয়েছে বলে জানিয়েছে বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংস্থা। যাদের বেশির ভাগই শিশু।
বাংলাদেশ সময়: ১৫১১ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১৬, ২০১৮
এমএ/