মঙ্গলবার (১৬ জানুয়ারি) দুপুরে কিশোরগঞ্জ অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ বিচারক মো. হুমায়ূন কবীর এ রায় দেন।
দণ্ডাদেশপ্রাপ্ত মামুন জেলার বাজিতপুর উপজেলার দক্ষিণ পিরিজপুর গ্রামের শামসুদ্দিনের ছেলে।
আদালত ও মামলার সংক্ষিপ্ত বিবরণে জানা গেছে, হত্যার স্বীকার মেনন রায়হান বাজিতপুর উপজেলার মজলিশপুর গ্রামের রায়হান উদ্দিনের ছেলে। মেনন রায়হান ২০১৫ সালের ৭ জানুয়ারি ভৈরব যাওয়ার কথা বলে বাড়ি থেকে বের হয়ে নিখোঁজ হয়েছিলেন। পরদিন ভোরে তার মা মাহবুবা রায়হান ছেলের মোবাইল ফোন কল করলে অপরিচিত এক ব্যক্তি রিসিভ করেন। একপর্যায়ে ওই লোক জানান যে তার ছেলেকে অপহরণ করা হয়েছে। দুই লাখ টাকা না দিলে তাকে হত্যা করা হবে। এ বিষয়ে মেনন রায়হানের বাবা ১০ জানুয়ারি বাজিতপুর থানায় সাধারণ ডায়েরি করেন। এদিকে, ভৈরব রেলওয়ে থানা পুলিশ রেল স্টেশনের কাছ থেকে ট্রেনে কাটা পড়ে নিহত হিসেবে একটি মরদেহ উদ্ধার করে বেওয়ারিশ হিসেবে দাফন করে। পরে খবর পেয়ে ছেলেটির মা-বাবা রেলওয়ে থানায় গিয়ে ছবি দেখে মরদেহটি তাদের ছেলের বলে শনাক্ত করেন। পুলিশ পরে মোবাইল ফোনের সূত্র ধরে মামুনকে গ্রেফতার করে। এরপর মামুন আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন। মেনন রায়হানকে কোকাকোলার সঙ্গে ঘুমের ওষুধ খাইয়ে ট্রেনের নিচে ফেলে হত্যা করার কথা স্বীকার করেন মামুন। তদন্ত শেষে পুলিশ আদালতে মামুনের বিরুদ্ধে অভিযোগ পত্র দেয়। মামলার সাক্ষ্যগ্রহণ শেষে অভিযোগ প্রমাণ হওয়ায় মঙ্গলবার (১৬ জানুয়ারি) দুপুরে এ রায় দেন বিচারক মো. হুমায়ূন কবীর।
রাষ্ট্রপক্ষে মামলাটি পরিচালনা করেন এপিপি অ্যাডভোকেট সৈয়দ শাহজাহান এবং আসামিপক্ষে ছিলেন অ্যাডভোকেট মিয়া মো. ফেরদৌস।
বাংলাদেশ সময়: ১৬৫৮ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১৬, ২০১৮
এসআই