যাদের বিরুদ্ধে মামলার অনুমোদন দেওয়া হয়েছে- কক্সবাজার জেলা সাবেক হিসাবরক্ষণ কর্মকর্তা মো. এফতেখারুল আলম (বর্তমানে অবসরপ্রাপ্ত), সাবেক সুপার আব্দুস ছবুর (বর্তমানে রামু উপজেলা হিসাবরক্ষণ অফিস), সাবেক অডিটর নাছির উদ্দিন মো. আবু সুফিয়ান (উখিয়া উপজেলা হিসাবরক্ষণ অফিস) ও সাবেক অডিটর গোলাম মোহাম্মদ চৌধুরী (অবসরপ্রাপ্ত)।
মঙ্গলবার (১৬ জানুয়ারি) সন্ধ্যায় বাংলানিউজকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন দুদকের উপ-পরিচালক ও জনসংযোগ কর্মকর্তা প্রণব কুমার ভট্টচার্য্য।
তিনি জানান, দুদকের চট্টগ্রাম সমন্বিত জেলা কার্যালয়-২ এর সহকারী পরিচালক ফারজানা ইয়াসমিনের নেতৃত্বে সহকারী পরিচালক মো. হুমায়ুন কবীর ও উপ-সহকারী পরিচালক মো. রিয়াজ উদ্দিন তাদের বিরুদ্ধে আনা অভিযোগটি তদন্ত করেছেন। আর তদন্তে তারা দুর্নীতি করেছেন বলে প্রমাণ পাওয়া গেছে।
দুদক সূত্রে জানা যায়, সরকারি এ কর্মকর্তারা পরস্পর ২০১০-২০১১ অর্থবছরে জেলায় আটটি খাতে ভুয়া বিল তৈরি করে দুই কোটি ৭১ লাখ ৬৭ হাজার ৭২১ টাকা উত্তোলন করে আত্মসাৎ করেছেন। এসব অভিযোগে আটটি আলাদা মামলায় অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে দণ্ডবিধির ৪০৯, ৪৬৭, ৪৬৮, ৪৭১ এবং ১০৯ ধারাসহ ১৯৪৭ সালের দুর্নীতি প্রতিরোধ আইনের ৫(২) ধারায় অভিযোগ আনা হয়েছে।
আরও জানা যায়, দুর্নীতিবাজ এসব কর্মকর্তারা কক্সবাজার সদর হাসপাতালের পৌর কর খাতে ভুয়া বিল তৈরি করে ৬০ লাখ টাকা, নার্সিং ইনস্টিটিউটের পৌর কর খাতে ভুয়া বিল তৈরি করে পাঁচ লাখ টাকা, সদর হাসপাতালের কর্মচারীদের নামে ভুয়া বেতন পরিশোধ দেখিয়ে এক কোটি ৪১ লাখ ৯৬ হাজার ৮৭০ টাকা, সদর হাসপাতালের কর্মচারীদের নামে ভুয়া শ্রান্তি বিনোদন ভাতা পরিশোধ দেখিয়ে সাত লাখ এক হাজার ৫৪৫ টাকা, নার্সিং ইনস্টিটিউটের ছাত্রীদের বৃত্তি ভাতা খাতে পরিশোধ দেখিয়ে ১২ লাখ ৯৬ হাজার ৮৯৯ টাকা, সদর হাসপাতালের কর্মচারীদের নামে ভুয়া উৎসব ভাতা পরিশোধ দেখিয়ে ২০ লাখ ৩৬ হাজার ১৭ টাকা, নার্সিং ইনস্টিটিউটের কর্মচারীদের উৎসব ভাতা পরিশোধ দেখিয়ে এক লাখ আট হাজার ৪৫ টাকা এবং নার্সিং ইনস্টিটিউটের কর্মচারীদের বেতন পরিশোধ দেখিয়ে ২৩ লাখ ২৮ হাজার ৩৪৪ টাকা আত্মসাৎ করেছেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৯১৬ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১৬, ২০১৮
এসজে/আরবি/