তিন সদস্যের কমিটিতে আহ্বায়ক মুহাম্মদ ফারুক খান। অপর দুই সদস্য হলেন- মাহমুদ উস সামাদ চৌধুরী এমপি ও বেগম হোসনে আরা বেগম।
মঙ্গলবার (১৬ জানুয়ারি) সংসদ সচিবালয়ে প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির ২৯তম বৈঠকে এ কমিটি গঠন করা হয়। কমিটিকে বিস্তারিত প্রতিবেদন দিতে এক সপ্তাহের সময় দেওয়া হয়েছে।
মোহাম্মদ সুবিদ আলী ভূঁইয়ার সভাপতিতে বৈঠকে কমিটির সদস্য মুহাম্মদ ফারুক খান, মো. মাহ্বুবুর রহমান, ডা. দীপু মনি, মো. ইলিয়াস উদ্দিন মোল্লাহ, মাহমুদ উস সামাদ চৌধুরী এবং বেগম হোসনে আরা অংশ নেন।
এর আগে ৯ জানুয়ারি বিলটি সংসদে উত্থাপন করেন আইনমন্ত্রী আনিসুল হক। পরে বিলটি পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে রিপোর্ট দিতে প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটিতে পাঠানো হয়। বিলে অবসরে যাওয়া প্রতিরক্ষা বাহিনী (সেনা, নৌ ও বিমান) প্রধান সাংবিধানিক পদে নিয়োগ পেতে পারেন- এমন বিধান রাখা হয়েছে।
এতে বলা হয়েছে, আপাতত বলবৎ অন্য কোন আইন দ্বারা বাধা আরোপিত না হইয়া থাকিলে অবসরপ্রাপ্ত কোন বাহিনী প্রধান সাংবিধানিক কোন পদে নিয়োগ লাভের জন্য অযোগ্য বলে গণ্য হবেন না।
প্রতিরক্ষা বাহিনী সমূহের প্রধানদের (নিয়োগ, বেতন, ভাতা এবং অন্যান্য সুবিধাদি) আইন ২০১৮ নামে বিলে বলা হয়েছে, উপ-ধারা (৯৩) এর বিধান সাপেক্ষে বাহিনী প্রধানের নিয়োগের মেয়াদ হইবে একসঙ্গে বা বর্ধিতকরণসহ নিয়োগ প্রদানের তারিখ হইতে অনুর্ধ্ব চার বছর।
এছাড়া বিলে প্রতি মাসে বাহিনী প্রধানের বেতন ৮৬ হাজার টাকা হবে বলে উল্লেখ করা হয়েছে। বাহিনী প্রধানদের পুনঃনিয়োগ প্রসঙ্গে বিলে বলা হয়েছে, বাহিনী প্রধান অবসরপ্রাপ্ত হওয়া বা স্বেচ্ছায় অবসর গ্রহণ করার পর প্রজাতন্ত্রের কর্মে কোন সামরিক বা বেসামরিক পদে পুনঃনিয়োগ লাভে অযোগ্য হবেন।
বৈঠকে প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের সচিব, সেনাবাহিনী, নৌবাহিনী এবং বিমানবাহিনীর ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা, প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা এবং জাতীয় সংসদ সচিবালয়ের সংশ্লিষ্ট ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
এছাড়া বৈঠকে রোহিঙ্গা ক্যাম্প পরিদর্শনসহ বিভিন্ন দপ্তর ও স্থাপনা পরিদর্শনের জন্য ফেব্রুয়ারি মাসের মধ্যে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী কর্তৃক একটি পরিদর্শন সূচি তৈরির সুপারিশ করা হয়।
বাংলাদেশ সময়: ২০১০ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১৬, ২০১৮
এসএম/এমজেএফ